জীবনের মানে চিন্তা করলে ধুরধুর কাপে বুক ।
উত্থান পতন ঘাত প্রতিঘাত ক্ষণে ক্ষণে দু:খ সুখ ।
কখনও জীবন মনে হয় তোরে হাসি গান ভরা কানন ।
কখনও ধরিস্ রুদ্রমূর্তি ব্যাথিত করিস্ মন ।
একমুঠো ভাত একটু কাপড় চাইনি তো কিছু আর ।
কেনই বা মোরে দেখাস্ ওরে! লোভ ধনভান্ডার ।
ক্ষুদ্র আমি, ক্ষুদ্র হৃদয়, সুখের নই পাগল ।
টন টন বোঝা, চোখ দুটো মুজা হাতে পায়ে শৃঙ্খল ।


কত সাধনায় সাজানো কাব্য নিয়ে কত মাতামাতি ।
মৃত্যুর দ্বারে পানির অভাবে কত কবির হয় ইতি ।
বজ্রের বেগে দস্যুযুবা কতই না বেগবান ।
সে কেন আজ স্রোতহীন নদী চায় জীবন অবসান ।
পাপের পাহাড় পিছনে রেখে এগিয়ে চলেছে বীর ।
জানে না তার বুকের ভিতরে কে কাঁপে তির তির ।
বলতে পারে না কোথায় মিলবে এই পাপের তল ।
ধিক্কার দেয় ধর্ষিত বিবেক চোখ করে ছল ছল ।


বেদুইন নারী স্বাধীন চিত্ত স্বপ্নে নয়ন ছাওয়া ।
সুরমা চোখের আরব যুবক তার পিছ করে ধাওয়া ।
তুইও তো এমন অবুঝ রমণী সদা কৈশরমনা ।
আদরে অবাধ্য কন্যার মত শুনিস্ না পিতার মানা ।
শোন রে জীবন তনয়া আমার সময় যে বয়ে যায় ।
পিতার স্নেহে প্রেমের শিকল পরাবো তোর পায় ।
আমার উঠানে নুপুর পায়ে নাচবি ধিঙ্গি মেয়ে ।
পরম আনন্দে টলমল চোখে দেখবো আমি চেয়ে ।
ঘোড়ায় চড়ে রাজকুমার একদিন আসবে এ অঙ্গনে ।
পালকিতে তুলে বিদায় দেব হেসে হেসে, ভিজা নয়নে ।