এইযে তোমরা আজকে সবাই
                     বলছো আমায় বুড়ি
আমিও কিন্তু তোমাদের মতো
                      ছিলাম একদিন ছুড়ি।
সারাদিন  দৌড়াদৌড়ি
                      খেলতাম পাশা খেলা
মা আসতো লাঠি নিয়ে
                             চল সবাই পালা।
কারো বাগানের ফল চুরি
                          কারো ঘরের চাল
বনভাত খাইতাম মোরা
                         নিতাম ঘরের ডাল।
পাশের বাড়ীর রসনা, ফুলবানু
                      ছিলো আমার সঁই
মাঁচার উপর শুয়ে -শুয়ে
                        মনের কথা কই।
পেয়ারা গাছের ডালে বসে
                         খাইতাম পেয়ারা
বাবা বলতো, বুদ্ধি, শুদ্ধি হবে কবে?
                         এবার তোরা দাড়া।
ভাইয়া বলতো ,ওরে দুষ্ট
                    একদিন যাবি পরের ঘরে
শত বাঁধা দিয়ে শোন
                        রাখতে পারবো নারে তোরে।
দাদু বলতো , নাতিনী আমার বুদ্ধিমতি
                                      কথা মিষ্ট অতি
দেইখ্যো তোমরা,নাতির আমার
                              হইবো ভালো গতি।
একদিন সন্ধ্যায় ঘরের ভিতর
                         অনেক লোকের ভীড়
বুকের ভেতর হঠাৎ করে
                             বিধঁল একটি তীর।
সে দিনই বাপের বাড়ী
                        ছাড়তে হলো আমার
তোমার দাদা তনু খাঁ
                          হইলো আমার বর।
বিয়ে করে তোমার দাদা
                        আনলো আমায় ঘরে
বিয়ের দশ বছর পর
                 তোমার দাদা গেল মরে
সে দিন থেকে তোমার চাচা ,ফুপুকে নিয়ে
                                     আমি চিন্তা করি
ধীরে ধীরে এই আমি
                       হয়ে গেলাম বুড়ি।