নিয়ন আলোর নিচে
                     শুয়ে থাকা উলঙ্গ ছেলেটি
র্জীণ র্শীণ শরীর
                 কীভাবে কাটবে তার ,এই রাতটি।
হঠাৎ একটি কুকুর এসে,তার গা ঘেঁষে
                    দুগ্ধ পান করায় তার শিশুদের
এই যে উলঙ্গ ছেলেটি
                        তারও দরকার ছিলো মায়ের।
সামনে গিয়ে বসে শরীরে হাত দিতেই
                        ওহ! কিযে গরম,এ যে জ্বরে ভুগছে
কোলে নিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরি
                          দেখি ছেলেটির শরীর কাপঁছে।
দৌড় দিয়ে নিয়ে গেলাম
                          কাছেই সরকারি হাসপাতালে
বললাম ডাক্তার, তাড়াতাড়ি দেখুন
                        খুশি হবো ছেলেটির জ্বর সারলে।
সুধাইলেন ডাক্তার, কোথায় পেলেন
                           র্জীণ র্শীণ রোগাক্রান্ত ছেলেটিকে
ধরলেন না কেন? ছেলেটিকে ফেলে রাখা
                                     নিষ্ঠুর মা-বাবাকে
হঠাৎ বৃদ্ধ বয়সী একজন মহিলা এসে
                           জড়িয়ে ধরলেন ছেলেটিকে
চিৎকার দিয়ে কেঁদে,বলে উঠলেন
                          ‘‘কির জন্য আনছো আমার নাতিকে’’
কেগো মা আপনি, সুধাইলাম আমি
                                      বৃদ্ধ মহিলাটিকে
কেনইবা উলঙ্গ, ফেলে রেখেছেন
                                 অসহায় ছেলেটিকেে।
এ কথাতে,বৃদ্ধারকন্ঠে
                           কান্নার উচ্চ সুর
দু’চোখে যেন জলের ধারা
                         বইছে বহুদূর।
শোনোবাবা, নাতি যে আমার
                          এতিম অসহায়
আমি ছাড়া, কেউ তার
                     নাই যে ,এই  ধরায়।
যে দিন রাতে জননী তাহার
                             ছাড়ল দুনিয়া
‘‘কুলাঙ্গা বাপ ওরে ফালাইয়া ’’
                        করলো একটা বিয়া।
সে দিন থেকে মা-বাবা
                        দু’জনই ওর আমি
এ অন্তরে বুঝ দিলেন
                         আমার অর্ন্তযামী।
সারাদিন ভিক্ষা করি
                   হাতপাতি মানুষের কাছে
কোমড়েতে দড়ি বেঁধে
                         রাখি ওরে পাশে।
দুই দিন দরে জ্বরে ভুগছে
                       আমার নাতনি খান
বাবা তোমরা,আমার নাতির প্রাণ
                          করো আমায় দান।
সে দিন থেকে বৃদ্ধা এবং নাতি
                      দু’জনই আমার আপনজন
খবরদারি করে তারা
                         আমার সারাক্ষণ।
এই জীবনে যদি পারো
                      এতিমের সহায় হও
বিশ্ব তোমায় সালাম দিবে
                       রুখবে  নাতো কেউ।