আমার কাব্যিক চোখ আজ নিজেই কবি,
একবার তাঁর চোখে চোখ রেখে আমি দিশেহারা;
কেন আমি তাঁর চোখে এতদিন চোখ রাখতে পারিনি?
আমার জন্ম কি তবে এতদিন ছিল ব্যর্থ,
না কোন অজানা ভুলে তাঁর খবর রাখিনি?


তাঁর চোখে নীল সাগরের অথৈই জলের বিছানা
আমার পলক যেন আর পড়ছেনা,
যখন পড়ল তখন আমি উড়ন্ত এক নীল সাগরে
ডুবে যাওয়া  মাঝি;
যেন বারবার তার নীল দু’ চোখের সৌন্দর্য সাগরে
ডুবে ডুবে জেগে উঠছি।


নীল চোখের সৌন্দর্যে যখন
আমি ক্লান্তি ভুলে পলক ধরে রাখায় ব্যস্ত;
তখন অপলক দৃষ্টির সীমানায়
তাঁর গোলাপী রঙ নজরে নিতে আমাকে বাধ্য করলে,
আমি দ্বিতীয় বারের মত পরাস্ত।


নীল চোখের গোলাপী সে মেয়ে
যেন পৃথিবী নামক গ্রহের কেউ নয়,
তবে কি আমার ভাবনার কেউ?
যাকে ভেবেছিলাম আষাঢ়ের
কোন এক বর্ষণমুখর সন্ধ্যায়?
যার জন্য হৃদয় সাগরে ছিল ঠান্ডা জলের ঢেউ।


না কখনও ভাবিনি তবে চেয়েছিলাম,
যে আমার জীবন অংকের কাটাকাটিতে
লাভ-ক্ষতির অর্ধেক নিয়ে নিবে;
তাঁর চোখ দুটো যেন নীল হয়,
এটুকু ভেবেছিলাম যদি নীল হয়
তবে কেমন হবে?


তাঁর দু’ চোখে কি আমি সাগরের সন্ধি খুঁজে পাব?
চেয়েছিলাম তার রঙ যেন হয় গোলাপী;
ভাবনায় এটুকুও ছিল যদি গোলাপী হয়,
তবে কি করব?
তাকে কি দেখব,
না কি তাঁর রঙে নিজেকে লুকিয়ে রাখব?


না আজ আর লুকিয়ে রাখার প্রয়োজন নেই,
আমি আজ তাঁর সামনে;
তাকে এখনও ছুঁয়ে দেখিনি
তবে তাঁর নীল চোখের নীলাভ দৃষ্টির রঙে আমি রঙিন,
যেন নীল সাগরের পারে দাড়িয়ে
সব দুঃখগুলোকে ইজারা দিয়ে আমি মহাসুখীদের একজন।


দৃষ্টির সীমানায় সাগরের সন্ধি খুঁজতে খুঁজতেই,
তাঁর গোলাপী রঙের ঝাপটা
আমাকে পুলকিত না করে আন্দোলিত করছে,
মনে করিয়ে দিচ্ছে-
এ নীল চোখ তোমাকে দেখার জন্য;
এ গোলাপী রঙের স্বাদ তোমাকে দেওয়ার জন্য।


শুধু আজ নয়,
নীল চোখের গোলাপী মেয়েটি
তোমার সমস্ত জীবন অংকের কাটাকাটিতে
লাভ-ক্ষতি হিসেবের অর্ধভাগ;
কারন আজ-
তোমার “বাসর রাত”।