দুখিনি জননীর কোল ঘেঁসে
বিস্তীর্ণ গাঁয়ের সবুজ ঘাসে,
বড় হওয়া এক বালিকা
ভুলে মায়া মৃত্তিকা,
যায় যখন যান্ত্রিক
এক মানসে,এসে তান্ত্রিক
বিড়াল তপস্বী,
সে যে মাংসাসী।


বেদনার দেনার দায়ে
শুধিতে প্রেমের কায়ে
ষোড়শীর ষোল কলা
তারই এক ফালা
বিকিয়ে কেবল নেশা
শুরু হলো এক ব্যবসা।


ষোড়শী পুরিল একে
একে, ষোল এক থেকে,
জুটিলো জটিল ষোল
জন, আত্মা খাইলো
ভাই-বোন সংসার সাগর
সবই চলিল বিস্তর।


শুধু এই কবি
আর উপরে রবি
জানিল জানের কথা
ষোড়শীর ব্যথা।
ষোড়শী এখন অশিতীপর
আছে শুধু ঘরহীন ঘর।


ঐ পাড়ায় যেখানে
বাবুরা যায় রাতের মাঝখানে,
কাঁদে অশীতি মরার জন্যে
ষোড়োশীর জন্যে বাবুরা হন্যে।
কী পাপ করেছে এই বুড়িটা
কেন মরেনা-টরেনা এটা।


ষোড়শী আসে
যৌবন ভাসে
বানের মতো
বাবুদের যতো।
ভয়ে বাড়ি ফিরে এবার
দজ্জাল বউটা পেটায় আবার।


পূর্ণ হইল ষোল কলা
ভাত জোটেনা শূন্য থালা।