রাজা,
তুমি কথা দিয়েছিলে
গণতন্ত্র দেবে, মন্ত্রমুগ্ধ শ্রোতা হয়ে
জনস্রোতে গা ভাসিয়ে শুধু ভাষণ শুনি,
তুমি কথা রাখোনি!


সন্তান,
তুমি বলেছিলে ডাক্তার হব বাবা,
তুমি ভেবো না মা আমাকে নিয়ে।
হয়েছো তুমি মাস্তান
সহপাঠী ফিরে গেছে নিঃপ্রাণ
বাড়ির উঠোনটা এখন শ্মশান।


কৃষক,
কথা দিয়েছিলে গোলা ভর্তি ধান
এবার উঠবে মাচায়,
পোকায় খেয়ে গেছে সব
দোষ দেব নন্দঘোষ বিধাতায় ?
উত্তর মিলবে উত্তরক্ষণে।


কবি,
তুমি লেখ গল্প, গদ্য নাকি উপন্যাস
বুঝিনা কথার বিন্যাস,
জোর করে হওয়া যায়না কবি
অথবা যোগী-সন্ন্যাস।


শিক্ষক,
তুমি পড়াবে, ছাত্রী তুমি পড়বে
গিয়েছো বেড়াতে পার্কে,                    
নিয়ে সুদর্শন স্যারকে।
আহা কী আনন্দ বিশ্ববিদ্যালয়।


যুবক,
আমরা জাতি অতি বোকা, বুরবক;
তোমার দিকে চেয়ে,
অভিযোগ তুমি ধর্ষক
তোমারও দেখি ব্যর্থ তামাদি যৌন রোগ।


প্রিয়,
বলেছিলে চিরদিন রবে,
বুক চিরি দেখি রামের ফটো কই?
ডানে বামে আঁটা ফ্রেমে একাধিক যুগল,
ভুলে ভরা বার্ধক্যে নুয়ে পড়া ভূগোল;
শুধু ভূমিকম্পে কাঁপে তুলবে নাকি পটল?


যৌবন,
তুমি নাকি চিরঞ্জীব,
খোঁজো এখন কেওড়াতলা,
বকুলতলা ছেড়ে, বেড়ায় বুড়ো তেড়ে
জাগো জাগো বাবা, ভীষ্ম প্রতিজ্ঞা করে।
নইলে বাকিটুকেরও হবে শিরোশ্ছেদ।