ফিমার, হিউমেরাস, করোটি, কশেরুকা
একে-একে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে জন্মের বন্ধন ছিঁড়ে
কোনো যন্ত্রনা নেই, ব্যথা নেই, খুলি খুলে পড়ল,
স্নায়ুর তারে শুরুতেই আগুন ধরেছে,
দাঁড়িয়ে থাকা, বসে থাকা, ভাবতে থাকা,
স্বচক্ষে-তৃতীয় চোখে চেখে দেখে কে-কে?
জানিনা, ব্রহ্মরন্ধ্রে হৃদযন্ত্রের বাজনা শুনেছি
জন্মের পর অন্তত ছ'মাস, নাড়ী দেখেছি
ঐ তালুতেই; যৌবনে হাতের তালুতে
যে এসেছিলো সেও বিপরীত যৌনাঙ্গে।
আজও রেটিনায় যে ছবি ত্রিমাত্রিক প্রতিবিম্ব গড়ে,
গড়পরতা হৃদ্যতা আছে
কিছু-না-কিছু, পিছু ছুটি তো তবু ছুটি নিয়ে
পৃথিবীর কাছে একা; সাথে অনেকেই যায়,
কেউ কেউ গেছে সখ্য হয়েছে কী-না
এমন, যেমন দেখেছো এতদিন;
কে জানে? জানি না,
এক ছিপি-মদ ওষুধ আর বোতলে মদ্যপ
বোল তোলে বেতালের, মাতাল হয়েছিলাম,
জানালা ভর্তি চন্দন-হাওয়ায়
আজ ঘুম এসেছে স্বপ্নহীন।