আজ
শুয়ে আছে জলের অতল
সেই তো অনন্তর ক্লেদ,বিন্দু পিছে
তারপর ফিরে চলা


"এমনিই সব"


চৈত্র কুড়িয়ে
বৈশাখী
পরমান্নে জন্ম মতান্তর
এমনিই।


বিকিয়েছে ন্যুনতম দামে
আজ অনন্তর চেনা চিনি বৃত্তটুক
কতটা মনন্তর  


শৈশব স্নেহের দুয়ারে মায়ের প্রণিপাত
পৈতৃক কোল্' দু 'কদম টলমল্
পড়ার টেবিলে কিছু অর্বাচীন জোট
তুমি এসে বোঝালে প্রাণায়াম
ঘর থেকে নেমে গেল মেয়ে
মাথা,মন ঘুঁনের দখল নিরাসক্ত পাঠ, পড়ার টেবিল ।


চিরদিন ঘরগুলি থেকে যায়
অলিগলি পথগুলো বেঁকে
পড়ে থাকে
অনুচ্চার মেয়ে।
ভ্রান্ত গোলাপ বোনে দুঃখবোধ
ধ্বস্ত স্বজন
ধূলাবালি শেষে
একখন্ড মেয়ে
"এমনিই "


কতভাবে সাজা হয় রসনা কোলাজ
ক্যটালগ্
রেশমী আলোয়
অর্বাচীন প্রেম
"এমনিই " সবটাই।


সেও যে বেড়েছে সুখে স্থল,জলে দাবী দাওয়া মতে
দৌড় , ঝাঁপ , সীমাহীন মাঠে
অবাধে
হেড স্যার
প্রাইজ
খেলাধূলা
প্রতিকূল ছিল কিনা


আজ হতভাগ্য দেহ সমুদ্র অতল
হাঙর , তিমি জলজ প্রবল
কাটা-ছেঁড়া দেহে কামের আঁচড় নখড়
"এমনিই "।


ঘুমো মেয়ে,পরম সাদরে , জলের আদরে।


সমাজটা বয়ে যায় নানা ভাবে কত অছিলায়
ঘরগুলো ফাঁকা হয় ; কান্নারা জমা হয়
সামাজিক ধূলা-বালি নানা ঝাপটায় ওড়ে শহর নগর
ওড়ে আমাদের অনুচ্চার হাহাকার ।


চতুর্দিক খেলাচ্ছল জন্ম,মৃত্যু,
নিগৃহীত মুখ
দৃষ্টি ফেরে অতঃপর
"এমনিই সব।