কি দেবে তুমি , কতটুক দিতে পারো
আমি যতটা জানি তোমায় তুমি তা জানো না
ধ্বংসস্তূপের ওপর দিয়ে হেঁটে গেলে তোমার
অস্বস্তি হয় , কেমন এক অপরাধবোধ কাজ করে
অযথা সময়ের রুদ্ধশ্বাস তোমার আসা যাওয়ার
কাছে ফেলে রাখে কিছুটা সরঞ্জাম
শালপাতার বিক্ষোভ
যন্ত্রণার দাবদাহে গুচ্ছ চাষাবাদী
লাঙলটা দেখে তোমার সন্দেহ হয় না কখনো
রক্তের রংটা বদলেছে ঠিকই কিন্তু
ক্ষতের পৌরানিক দেহটা বিকিয়ে রয়েছে ,তুমি দেখলে না
ভাবলাম ধীরে তুমি জানতে চলেছ
গৃহীর সময় , গোখরোর দংশনকালে হৃদয়ে সৃষ্ট নৈরাজ্যের
গভীরতা কতটুক ;
কতটা বিষের তীব্রতায় হৃদয়ে জমাট বাধে নিবৃত্তির বালুতট
মাথাটার তিনদিক জুড়ে দর্শকের সমাধি
একফালি ঘিলুর অশরীরী নিশি ডাক আজও
আমি শুনতে পাই
লেখাগুলোর কাছে হাভাতের মত পড়ে থাকে
বাকিটা খুঁটিয়ে যাচাই করে অক্ষর উৎপত্তি রহস্য
সিনড্রোম কালে তোমার স্পেশ্যাল স্কোয়াডে
হেঁটে যেতাম আমি ,সংরক্ষিত এলাকা বলে তুমি পার করে দিয়েছ
কতবার বলেছ ,নির্বিকল্প হও "
দাঁত,মুখ চুইয়ে কত শত নদীতট, ঝাউবন , সাগর উচ্ছাসে
শববাহীর দায়ভারে বিদ্ধস্ত আমি
মৃত দেহে প্রাণের রসদ রেখে বোকার মতন মাথা নাড়তাম
তারপর নিঃশব্দ , অখন্ড নিস্তব্ধতায় আগুনের সাথে
বেজায় খাতির কালে
দেখা গেল বহতার জলে আত্মাটি ভেসে যাচ্ছে
তুমি ভর দিয়ে ডাঙায় উঠে এলে
গায়ে আঁশটে গন্ধ , চোখে মুখে কম্পন
আমার অখন্ড নিসঙ্গতায় দিয়ে গেলে ভেঁকের ডাক, রঙ্গমঞ্চ ,
ঘোলাটে পুকুর, শ্বাপদের শারীরবৃত্তীয়


ত্রিরঙা পতাকায় স্বাধীনতা ঢল্ গড়াগড়ি যায় "
কামনার ভোগ্য ফল ত্রিবর্ণে চোকাবো


রাজীববাবু ক্ষেত্রবিশেষে ভরসুখেও লেনদেন হিসেব কষায়
দু'দন্ড সময় নড়ে চড়ে মেলায় নিকেষ, এভাবে কি
লেন দেন হয় ?