এখনো তোমার মঙ্গলঘট পল্লবে বিভূষিত
শান্তি প্রতীক ,একদা তোমার স্বপ্নরঞ্জিত
স্বাধীন ভারত এইখানে তুমি
অধিষ্ঠিত তোমার ভাবমূর্তিতে ;


আমাদের অনেকটা সময় চলে গেছে
জঙ্গীদের মুখোশ চিনতে
তোমার আজাদ হিন্দ ফৌজ -আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল
হিংসা বর্জিত সমাজ , বজ্রসম প্রতিজ্ঞায় ;
দুরাচার, লুঠতরাজ, সম্ভ্রমহানী , মা,মেয়ের ইজ্জতের বিনিময়ে
অামরা পেয়েছি মুষ্ঠিসম স্বরাজ
তোমার বেদীর পরে আজ বিশৃঙ্খল রক্তহোলী স্রোতে
ভেসে চলেছে আমাদের সম্ভ্রম ,
মুষ্টি কয়েক প্রেতের নাচন জানান দিচ্ছে তুমি নেই,তুমি ছিলেনা


ঐ দেখ সর্বহারা কৃষকের ক্রন্দনরত লাশ
দেখ তার শিশুর ভয়ার্ত ভাষাহীন মুখ
রেনকোজি মন্দিরে আজও এমিলিরা তোমার ভস্মস্তূপে খুঁজে চলেছে
বিশ্বত্রাতার বজ্রকন্ঠ , মান্দালয় থেকে ভেসে আসা
তার দীপ্ত প্রভাব একুশের ঢলে অনিতারা প্রভাবিত ;
আমাদের ঘুম আসে না ; আঠারো'র কোষে তোমায় বসাবো বলে
সঁয়ে গেছি শ্বাপদের দংশন, নৃশংস বিভেদ
বৈষম্যের তারকাটায় ছিন্নভিন্ন ঘর দোর
আর ছেটানো প্রত্যঙ্গে বেওয়ারীশ তকমা


সেদিন ;
অভ্রভেদী রথে বিজয় নিশান পত্ পত্ করে উড়বে
ছেলেদের দু'চোখে ,আর আমরা
দাওয়ায় বুনব শান্তির বীজে অঙ্কুরিত একটি স্বরাজ


নর পিশাচের দল সর্বস্ব লুন্ঠন করেও রক্ত নেশায়
উজ্জীবিত
জঙ্গীদমন সূত্র ধরেছে এগারোর কৌশল
ফরিয়াদ চাই নি, ফিরে এনে দাও আঠারোর বৈভব
চৌকাঠ বেয়ে তোমার সমাধি পরে
স্থিতু নিয়নের আলোয় ঘোর লাগা ছেলেরা
ঘরে ফিরুক ;


একান্তে !!


নিয়নের আলো তোমার জন্য নয় ..............
নেমে এস বীর !ধূলার মাটিতে
তাদের মেধা থেকে বীরের মতো,
নেতার মতো, বুক ঠুকে বল,"' লড়েঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে " ,
তুলে ধর আজাদ মন্ত্র ,ছড়িয়ে দাও
দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ;


তোমার মন্ত্রে দীক্ষা নেবে বলে চতুর্দিকে হতাশা
কোন তরুণ জেগে উঠছে না ,বলছে না ," মায়েরা,মেয়েরা ,মানুষেরা
সকলে এগিয়ে চল নতুন ভোরের দিকে ।
যে সংগ্রামে আমরা ফের খুঁজে পাবো আমাদের মঙ্গলঘট
যাতে প্রতিষ্ঠা হবে একটি অন্য স্বরাজ।