মানুষ ইদানীং স্বার্থপর খুব
পৃথিবীর গন্ডীটাকে
কেটে ছেটে ঢুকে যাচ্ছে
পরমার্থের ল্যবে
আবিষ্কারক মহামৌন্দ্রিত সাধনায়
জুড়ছেন শৌর্যস্তম্ভ, প্রশস্তির প্রাণায়াম।
মহড়ায় ব্যপ্ত মানুষ
ঘুরিয়ে, ফিরিয়ে, নেড়ে চেড়ে
ছাতি, বহর মেপে জুপে তবে
মজলিসে বসছে ,জোড়ায় জোড়ায় দৃষ্টি
গেঁড়ো হাতে কেবল চাকচিক্য মাপছে ।
টেবিলে সারি নৈবেদ্যে
সেঁটে গেছে রিপু
চলেছে কিংবদন্তির মতো
মানুষের চৈতন্য ফলানো প্রথা
আশ পাশের আবর্তনে
বিনিময়  নির্দেশ,
কিভাবে গোমতি শিখিয়েছিল
চরাচরে লাঙল ফেলে
গড়ে তুলতে হয় নৈকট্য
গড়ে তুলতে হয়
পরিপাটি ক্ষেতে
গোটা মানুষের তাত্ত্বিক অর্বুদ
টেবিলে নয় ঘাসের পরে, মাটির পরে
হৃদয়ের জলজ্যন্ত প্রতীতি
মনের গন্ধে,প্রাণের গন্ধে
বনতলে ভরপুর নৈবেদ্য প্রসাদ।
আজ তৈরী হচ্ছে আরেক ব্যাসার্ধ
উত্তরণের তাৎপর্যে
নমুনার আত্মীকরণ
মানুষ খুব চৌখস হয়েছে ।
বর্ণ, গন্ধ শুকে তবে
তাম্বুজী তকমা,
পোষাকে খাজাঞ্চি, সম্ভাবনায়
মৃত সৈনিকের উত্তরীয়।
আমি প্রায়ান্ধকারে বিবশিত সংকেতে
মুখ রেখে মুর্খের মত প্রশ্ন করি
ভাল আছো তো?