বৈশাখে খাবি খাবো  জৈষ্ঠ্যের ছেঁকা
ধূলা বালি ঝড় জল্ জীবনের ঠেকা ।
মেঘে মেঘে দ্বন্দটা গর্জাবে গরজে
মালতির ফাঁকা চাল্ ভাঙনের তরাসে।


ছেঁটে দেবে ফুল ফল্ কঁচিদের প্রান্ত
ঝড় জলে ভাসাবে জীবন প্রাণান্ত ।
দেবতার বিদ্রূপী শান্তির জলে
প্রাণ প্রাণ বরদান আশির্ব্বাদ ছলে।


প্রেমিক খুঁজবে নেশা,বাবুদের কৃষ্টি
জুড়ে যাবে ব্যবধান যত অনাসৃষ্টি ।
কাগজ ভাসাবে তরী ছিপখান্ মাঝি
বাবুদের ব্যলকনি  আড্ডার  সাজি ।


প্রাণান্ত ঢেউগুলো নিঃসীম ভয়ে
চেয়ে চেয়ে নিশ্চুপ ঝঞ্ঝা প্রলয়ে।
বাবুরা খুঁজবে ওঁম্ প্রস্রবণ বুকে
দুকদম ভেট পাবো উৎসব সুখে।


কিনব কোরমা ঠ্যং মাখনের প্রলেপে
বসব বাবুর পাশে আরামের দখলে
মসৃণ চটি জোড়া ছাপা শাড়ি, সায়া
মেলা ঘুরে ভুলব যে বন্যার মায়া ।


বৈশাখে লেখা হবে ঝুড়ি ঝুড়ি কাব্য
দু'কলম আমাদেরও লিখো ভবিতব্য ।
খানদানী সভা আর গান মজলিশে
বাবুরা ভুলবে মৌজ বর্ষা ইলিশে।


জন্মাবে কবিদের ছানা পোনা বাহারে
ঝড়ে জলে খাবি খাবে কাব্যের প্রহরে।
পাল্লারা মাথা নেবে পোনাদের ঘিলু
রবীন্দ্র,নজরুল ভয়ে আলুথালু ।


মালতি দ্যখনা চেয়ে আড়ালের তকমা
লঘু গুরু সন্ধির প্লাবন আচমকা,
গর্জায় বজ্রের দাম্ভিক সঙ্ঘ
আরামটা ছিল ব্যাস্
দু দন্ড ধম্ম


আরামটা দামী খুব
ব্যরামের রসনা
বাবু বিবি ধম্মটা আড়ালেই থাকনা ।
সুখ সুখ মহাসুখ বাড়তির জোযনা
বিশ্বের পাতা ফাঁদে আমাদের ঘরানা।