বেশীদূর নয় তোমার পদপ্রান্তে
আলোতে ম্লান হয়ে আছে জীবন্মৃতের সূত্রগুলি
হোঁচট খেয়ে রক্তাক্ত আমাদের তামসিক
বোধাবোধ , অঞ্জলির ঘটায় খোঁজার
চেষ্টা করি বারংবার তোমায়


অথচ


মূর্তিমান তুমি বসে থাকো অবচেতনার নৈবেদ্য' লোভে
আমরা তমসা ছড়িয়েছি বুকের ওমে
তার নিষিক্ত ফলে যদি কিঞ্চিৎ সুখের অবগাহন ঘটে
তাতে তোমার প্রাণভরা আশীর্বানী পড়ে না হয়তো,
পাই না তোমার ছিটেফোটা চ্ছটা ;
সাম্রাজ্যের একক আসনে তুমি অধিষ্ঠিতা
আমাদের কোলগুলি খাবি খায়
তোমায় প্রগলভের উপকরণ ভাবে ,
অতঃপর নেমে যায়
মশগুলে


বিদ্যা পাবো বলে তোমায় নাচাই,হাসাই,
ঝলমল আলোর এক ধারে পরে থাকে
আমাদের খাতা,বই, তানপুরা
নাচের ছন্দে তোমায় কতভাবে দেখি
ভেবে নি তোমার আশীর্ব্বাদ , অথচ
নিশ্চিত জানি মেধা আর-
বিদ্যার কদরে খাবি খাচ্ছি অহরহ তামসিক প্রজ্ঞায় ;


কি করি বল ?


মনের ডালপালা বেয়ে বিদ্যা যখন
গুঁতো মেরে রাস্তায় দাঁড় করায়
তখনো তুমি নিবিষ্ট চিত্তে বাগ্ সম্ভাসিতা ,
আমাদের কোমড়গুলি
দুলে ওঠে তোমায় তর্পণের বাহানায় ;
ওং মন্ত্র বেয়ে -
কোন মিনতি পৌঁছয় না তোমার কানে
চুপি চুপি তোমার অঞ্জলি' পাতা রেখে আসি
বইয়ের ভাঁজে
শান্তির জলে উতরে যাবার মন্ত্রে


নিষ্কলুশ আরাধনা ।


খুব সন্তর্পনে কোমড়ের দড়ি পোক্ত করে
প্রগলভ্ হাসি
বুকে জড়াই অবজ্ঞার কষাঘাত
দেরাজের রং চং শাড়িতে সযত্নে পিনআপ করে
তোমার পূজায় মেতে উঠি
জানি এর পরেই গভীর তমসায় ছেয়ে যাবে
আমাদের চাওয়া পাওয়া ।।