আমাদের মাটি দুর্জয় খাঁটি রক্তেরা বেদুইন
রেখেছে অটুট শান্তির ভিত্ শোধে পৈতৃক ঋণ
রয়েছে সে ছাপ যদিও প্রলাপ ধর্মগুরুর সঙ্
ওপারে যে কৃতি আজ দুষ্কৃতি মুখোশের রং চং।
রঙের বাহারে আমরা মজেছি যাবতীয় সংজ্ঞায়
রক্তপিপাসু সৃহৃদ বেশে প্রাণঘাত্ নিশানায় ।
এই হাড় জ্বেলে তপ্ত প্রবল রুখেছে কালের গতি
দেশ জুড়ে তার শত সন্তাপ ছেলে বুড়ো সন্ততি।
ওদের দু'হাত মৃত্যু নেশায় রুধির রাঙানো অস্ত্র
কখন সাধের মৃত্যু ছেনাবে দু'মুঠো অন্ন বস্ত্র ।
ঘামের দামের শ্রম ফলেয়েছি সম্মেলনীর ঘাঁটি
ধূলি ,কণা সহ মাটি আলয়ে'র বন্দিত দুর্গটি ।
রেখেছি অজেয় কৃষ্টি কৃপায় ছোট ছোট সংগ্রাম
বজ্র তুফান চোখ রাঙানি'রা মানুষের সন্তান ।
আমাদের জমি,ফসলের ঘরে অন্যের অধিকার
প্রগতির ঘর খুলেছিল কেউ ভালোবেসে কবেকার ।
পিঠের অস্ত্রে ঘয়েল হয়েছে লোলুপিত কুজ্ঝটি  
ঋণের চাদরে বিছায়ে গিয়েছে হৃদয়ের কাটাকুটি ।
ছেড়া কম্বল , চপ্পল, থালে জীবিকার ওঠা বসা
ঘাড় ধরে তার পুনঃ অধিকার লিঙ্গে অঙ্ক কষা ।
হাঁটবে না শোবে ,জোরে না আস্তে তৈরী সে মস্করা
শোনাবে শুনবে প্রগতির ভাষা লক্ষ প্রদীপ জ্বালা
শুদ্ধি তোমার শুদ্ধকরণ মানুষ নির্বিশেষে .......
দায় নেব না ক' দুদিনের ভোগ মুকুটের অভিষেকে ।
দেনাদার সারে ক্রম অভিসারী ভালোবাসাগুলো হায়
খুঁজেও মেলে না প্রেম প্রীতি কিছু অতলে মিলায়ে যায় ।।