মনিষীরা স্বর্গ পরিত্যগ করে চলে গেছেন
বৃত্তসুখে ;
কে এক অজানা বালকের আদেশে
যে দেখিয়েছিল শরীর মার্গ ,চলে গেছেন গৌতম, তীর্থঙ্কর,
বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ, গৌরাঙ্গ
সকলেই ব্যপ্ত স্ব স্ব ধারণায়
যে সময় অরণ্যে' শান্তি চলছিল
মুনি,ঋষি,একে একে গভীর থেকে
গভীরতর ধ্যানমগ্ন -
যখন সে আসছিল-
সাগরের ঢেউয়ের ওপর হেঁটে যাচ্ছিলেন ঋষিবর
আগুনের মধ্যেও তার উত্তরীয় স্থির্
অপলক ব্যাপ্ত অর্ন্তদৃষ্টির গভীর দুটি চোখে জ্ঞানের গরিমা
টলাতে পারেনি হিমালয় সদৃশ -
তাদের অন্তরাত্মাকে।
ধ্বী চ্ছটা ছড়িয়ে পরছিল চর্তুদিক গাছ,পাখী,ফল,ফুলে
দেবর্ষি বালকেরা অধ্যায়নরত ;
হৃদয় পূর্ণ হত মুখদর্শনে,পদসেবনে আত্মার শান্তি।


অজানা বালক উপবিষ্ট হল মুনিবরের মাঝখানে
তার মহান কৃপায়।
রে রে করে উঠল শান্ত জগৎ,
ধ্যনমগ্ন কালে তিনি শরীর পরিত্যাগ করে-
ঘুরে বেড়ান চিদানন্দের বৃহৎ স্বত্তায় -
তিনি আদেশ দিলেন,  প্রণত হও !!


নিশ্চুপ বালক উত্তেজিত হল...................
কামক্রোধে তার বোধ লুপ্ত হলে-
সে বৃত্তসুখ বোঝাতে লাগল ; কেঁপে উঠল স্বর্গ
বন্ধ হল স্তব, অধ্যয়ন,তপস্যা,ব্রত ;
পদচ্যুত হলেন মুনি,ঋষি একে একে
শুরু হল মাদক সেবন , বৃত্তসুখের উন্মাদনা ।
....................................................................