শেষ কথাটি পড়ল মনে ?
হঠাৎ করে বিষাদ দিনে
অন্ধ দেয়াল একলা ক্ষণে
অসুখ মনের খেয়াল বনে
বাবার খাতায় আঁকিবুকি
শখ ছিল খুব রং মিলিয়ে
একত্রের এই ঘরটা আঁকি
সুখের ছবির মাঝখানে তুই
টমির কিছু আদল রাখি ।
তখন ভীষণ কঠীন সময়
যশোর দেশে মড়ক প্রবল
দাঙ্গা খুনের রক্তে জবায়
বাবার সেবার প্রবল অসুখ
লড়বে কি আর আপস চেয়ে
সভার মাঝে থামল বিরুপ
বর্গীরা তো ধ্বংস নেশায় ঘর খেল
সব মা বাপ খেল বুঝল না কেউ
সুখের ঘরে হিংস্র লোলুপ মারণ এল
লুটপাট হল খুনের শোষণ
বাবার হৃদয় ছিন্ন হল ।
তুই তখনো জ্ঞাতির কোলে বর্গী যারা
খেলার সুখে মায়ের চোখে
অশ্রু দিল দাঙ্গা প্রবল দেশ বিভাগের
পালাই কোথায় খোঁজ কেবলি
হার্টের অসুখ বাবার তখন বিশ্বাসে সব জলাজ্ঞলি ।
বালিশ তলে বিষের শিশি খাতায়
ছেড়া পাতার ভাজে লুকিয়ে চিঠি
মরণ কালের কেউ দায়ী নয়
বোঝার ভুলে আপন ঘরের সুখ চাবিটা
বর্গীদেরই দিলাম তুলে তার লিখেছি অংশকথা
আমিও বেজায় রোগ কবলে
শেষ মিনতি তোকেই লেখা।