দোলনা আমার ভয়ানক ভালোলাগে
ক্রমাগত শূণ্যে দুলিয়ে উঠলে
কেমন হালকা লাগে নিজেকে
মনে হয় কারো বেষ্টনী,পাতার আলতো ছোঁয়া
দেখি সে এসে বসেছে
ধুয়ে দিচ্ছে দাগছোপ
তুলে নিচ্ছে দুঃখগুলো
এক একটা যুগ পেরিয়ে আমায়
গড়ে তুলছে কেমন
ফিসফিসিয়ে জানাতে চাইছে
সবটা আমায়
দোলনাটা গাছের,ওকে দোলানোই
ওর কাজ


মাটিতে পা রাখলেই আমি
ভয়ানক একলা হয়ে যাই
কথাগুলো নিয়ে যায় অন্য কেউ
আমার
না আসে কান্না না হাসি
বোবায় ধরে,আমি গোঙাতে থাকি


আসলে গাছেরা বেশ বৈষয়িক
কোথায় কখন কাকে দোলাতে হয়
বেশ বোঝে, বেশ জানে
লাল টিপ নীল শাড়িতে ঠিক কাকে কতটুক মানায়
বুঝে নেয় গাছ
থমথমে এসে দাঁড়ায় মুখোমুখি
সাথে বিষাক্ত কার্বণ,আমি শিউরে উঠি,এভাবে নয়
সিস্টেমে আসতে হয়
মন্ত্রপূত পবিত্র বস্ত্রের মত,
ইচ্ছে করেই কালি ঘষি
সাজগোজ ফেলি ডাস্টবিনে
উবে যায় বৃত্তিগুলো নিভে যায় পিষ্ট হৃদয়
ফাঁস দিই বেষ্টনী জুড়ে, খিল আঁটে
প্রেমের পাঁজর।


জৈষ্ট্যের ধূ ধূ, তপ্ত খড়ায়
হিমের আড়তে বোবায় ধরার কারণ খুঁজি
ওর কাছে
পৃথিবীর শূণ্যতায়।


মস্ত লাল টিপে একরাশ ধূলো ছুড়ে
অদৃশ্য হয় কেউ,আঁজলার জল ফেলে দিয়ে
অট্ট হাসে গাছ।