অতলে তলিয়ে যাওয়া একটা সময়
একটি উচ্চারণ , একটি প্রতিবাদ।


সব মেঘ বর্ষণদায়ী হয় না মহারাজ
সব তড়িৎ প্রকল্পের কাজে আসেনা
দখলের অনেক আগে
জীবন ক্ষয় করেছি অযথা শব্দে
পিঠে ফলেছে মহাজনী চাবুক
বস্তির টুকটুকে মেয়েটিকে
জীবন বোঝাচ্ছিলাম ,যন্ত্রণা , ক্ষমতা'র
বদলে নাড়ী ছিড়ে ফেলা হল
শেকড়ের স্বজাত উপকরণে,
প্রথম দেখলাম মঞ্জিষ্ঠার মালায় কামসূত্রের আপ্যায়ন
ছিটকে পড়েছিলাম অহমিকাদের দম্ভে
যখন মঞ্চে উদ্বোধন হল প্রথম স্বামীর
আমাকে চারশত আটাত্তরবার বাজারে ঘুরতে হয়েছে
যৌনাঙ্গ ছুঁতে হয়েছে নব্বই শতক ন্যুব্জের
দশ দিকে ওরা বেশ দলাদলি দাঁড়িয়েছিল
আর আমার বেশ-বাস অঙ্গ প্রত্যঙ্গের গনলুট
কারণ আমি আয়েশা'কে কাজে পাঠিয়েছিলাম
আমার সজ্জিত স্বামীর দল প্রতিবার
আমায় বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে দাঁড় করাতো রাস্তায়
সবার গোচরে , যাতে দৈন্যতা'র প্রকোষ্ঠ প্রচুর্য্যের ঝলকে
উপচে উঠে , যখন সার্টিফিকেটে বসিয়ে পেচ্ছাব করনো হল-
পাগলা মেহেরজানকে, সহ্য হয়নি মহারাজ
সে ছিল বিংশতিতম ।
নিজেকে ক্ষত বিক্ষত করেছি বারবার
ঠাকুমার ঝুলিতে রেখেছিলাম দ্য ভিঞ্চি
জুটল আটাত্তরের উপবাস,
গৃহদেবতার পাশে বিনয়-বাদল-দিনেশ
আর অষ্টত্তর শতনামের বদলে অগাথাকৃষ্টির আত্মচরিত
সন্ধ্যার ধূপ জ্বেলেছিলাম ভোরে আর
পূজার বেদীতে রেখেছিলাম প্রিয় মানূষের ছবি
ব্যাথা টসটস করে আজো আমার পাঁজরের সন্ধি।
বখাটে পুলিশ নষ্ট করেছিল বস্তির মেয়েটিকে
প্রশ্রয় দেইনি বলে অগ্রাহ্য করা হল
জ্বলন্ত অভিযোগ
সিগারেটের ছ্যঁকায় ফ্যাকাশে করা হল আমার ঠোট,মুখ
দু'চারটে প্রগতিশীল পুরুষ বন্ধু ছিল বলে
খর্ব করা হল হাঁটা চলার পথ, গল্প,গুজব
ছেঁটে ফেলা চলল যাবতীয় কর্ম ,শ্রম , প্রথা
আরোপিত হল কার্ফু  বসতির আশেপাশে,
সীমানার প্রতি মূহুর্তে ।
দেখুন আজ আমার পরিসর কেবল প্রকোষ্ঠে সীমাবদ্ধ
সর্বস্তরে তন্ত্রের মাঙ্গলিক কারুকাজ কেমন
নিয়মে বেঁধে ফেলেছে সীমানা ,
বুক ঠুকছে ওরা , বলছে ,
"নিয়মের মহাশোধ তন্ত্র ফলেছে একবিংশ উন্নয়নের ন্যুব্জ পিঠে "


আপনি খুশী তো ?
----------------------------------------------