হাত'টা তখনও তোমার খোঁজে
            এলোপাতারি তালগোল পাঁকাচ্ছে
           সন্ধ্যা'র ধূপ,দীপে তুমি গোত্রান্তর
           জেনেও একত্রিত হতে চেয়ে............
   শেষ করেছি সুদীর্ঘ যুগের পরিহাস।
    
যে'ক্ষনে অপেক্ষায় ছিল আগাম দ্রোহের ফিসফাঁস
   কয়েকলক্ষ নেকড়ের রক্তাস্বাদের বিপুল ক্ষুধা
আর ওষ্ঠরঞ্জনীর ব্যাপক তাড়ণা'র
  গুপ্ত শিবির, যাদের হাতে ছিল কাপড়াচ্ছাদিত
   মারণ সংকেত্,
                 কি নিবিড় পিপাসার্ত জৈব চেতনা।
   আত্মসংকেত ছিল প্রায়ান্ধকার কক্ষে'র
     পরামর্শে মারণোন্মুখ ,পন্থা..............
     পরিন্মোপ্ত চেতনায় বিপক্ষের তুমি।


দেখেছি মহাভারতের কালে................
নৃশংস দুঃশাষণের প্রবল দাপট
জৈব লালসায় পরাভূত হয়ে
তুমি তখন শান্ দিচ্ছ দাস মন্থরায়...........
আর চারিদিকের অন্ধ দেবতারা তাড়িয়ে তাড়িয়ে-
ভোগ করছেন প্রথম,দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা-
কি অমায়িক তাদের আপ্যায়ন !


মৃত মাছের চেয়েও নিকৃষ্ট তাদের দৃষ্টি ,
ঘষা কাঁচের মত বোধাবোধ
তুমি কৈবল্য নিলে, প্রচুর সম্পদ আর সম্রাজ্যের লোভে-
উন্মাদ তুমি আমায় পদাঘাত করলে
বিজ্ঞাপনে ছেয়ে দিলে আমার দীনতা


পলক ফেলতেই আমি অর্বাচীন,মিথ্যে,কপট,অপ্রয়োজনীয়
আর গনদেবতার দলে তুমি-
লাস্যের মৃদঙ্গে তান জুড়েছ বিবসনা,
প্রথম দেখলাম , রাজ্য, সম্পদের লোভের বিভৎসা
শিউরে উঠলাম,আমার স্বজন-ও বাদ যায়নি
যখন সাম্রাজ্য বিলি চলছিল, চেঁচিয়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না-
প্রকৃত দাবীদার,আমার স্বজন হয়ে এসেছিল যারা-
পাট্টা'র ভাগ নিতে , তারাও নাম লিখিয়েছিল -
দেবতার দলে................।


ধীরে আমার হাতে,মুঠো শিথিল হলো
    প্রথম  শুনলাম তুমি চেঁচিয়ে বলছ," কপট,শয়তান"
  
আমি স্থির দৃষ্টিতে দেখছিলাম তোমায় ছুঁয়ে থাকা-
  স-শরীর ব্যপ্তি, তোমার মুখমন্ডলে'র অপূর্ব লাস্যে'র-
      কারুকাজ,আমায় বেশী মুগ্ধ করেছিল.............
  তোমার জ্ঞাতিবধে'র দুর্দান্ত কৌশল,জানো.........
     আজও আমি সে-ই মারণ ফিসফাঁস শুনতে পাই-
   বিশ্বাস করো..................??


....................................................................................।