মূহুর্তের গর্ভে এইমাত্র জন্ম হল বাদামী সূর্যের
ঘুম ভাঙা সময়'টা জুড়ে ,
ছড়িয়ে যাচ্ছে তার প্রভা
.............................................................
যখন লোকালয় মুছে ফেলেছে বাকী অস্তিত্ব
অনেকের মত আমিও সে'দলে
ধরে ধরে নোটিশ চলেছে ,"ওরা বুর্জোয়া, "
নৈঃশব্দের মধ্যে সেঁটে যাচ্ছে বোবা অক্ষরগুলো
অকৃত্তিম নিষেক তারণায়, মূহুর্তের জন্মক্ষণে (আর )
খেলা করছে তাদের তারুণ্যে স্পর্শতন্ত্রীর বিচিত্র স্তর
কামদ অঙ্গেও ভাষার বিচিত্র চিত্রণ ..................


যখন তুমি কাব্যকে বলতে এথিক
তোমার চলায়-বলায়, উঠা-বসায়, রঙ্গ-রসায়
নৃত্যে,ঢঙে , শোবার প্যাশানে ,এমন কি কন্ডোমে-ও
আমার কাব্য ঢুকে যেত অনায়াসে.............


তোমাকে বিন্যস্ত বানী শুনিয়েছিলাম
আমার বরাদ্দ হল দীপান্তর
কাব্য চেয়েছে আমায় জেনে কুয়াশা ছড়ালে বিস্তর
শহরের ঘরে লিখে দিলে পরিতাপ
ওরা আজও কোরাসে জানান দিচ্ছে ,"জি হুজুর, আজ্ঞে হুজুর"
তুমিও কি তাই ?
সহযে ছেড়েছো বোধাবোধ ?
ভেসে গেছ মোহনার বিপন্ন খড়-কুঁটোয়...........
অক্ষরে অরুচি ? কাব্যে বিস্বাদ ?
বজ্রকঠীন চোয়ালে কি আজন্ম প্রশ্রয় ?


কাঁটাতার বেড়িটাকে ডিঙিওনা মোটে
দো'বেলা গোবর জলে শুদ্ধ রেখ বিছানা চাদর ।


একত্রে রেখ মে-আঁচার দোর চৌকাঠ
তন্ত্র সামলে রেখ যত অনাচার
ধুয়ে দিও প্রশ্রয়ের স্বীয় মতবাদ নিষ্টার জলে
কামরুপ কামাক্ষ্যার লিঙ্গ উপাচার..................


থেকে যাক্ দুর্দিন ,অ-স্বীকার, বিকৃতির
ঘোর দুর্যোগ,ছেয়ে যাক্ অরাজগ্ স্থাণকাল্ জুড়ে
কাব্য মানে ,ধ্যুৎরি
কাব্য মানে , মশাদের রজঃগুন
কাব্য মানে , অতৃপ্তের নিলাজ বয়ান
কাব্য মানে , খুনসুটি সুড়সুড়ি সময় যাপন
কাব্য মানে , হাভাতের অলস যাপন .................।


আমাদের অস্তিত্বে সবে সূর্যোদয় হলো
ফিরবো আবার , লাঙলে জমিতে
ভোর হলে আবার কথাময় শব্দ মিছিলে-
ঘিরে নেব বাকী কলস্বর
ঝোলা থেকে ভাষা উৎসব ...................


ওহ্ , দেখি যত্রতত্র নিষেধ প্রাচীর ঘোর কাঁঁটাতার