একদিন ক্ষয় হব আমি ; আমার সঞ্জাত
যত প্রেম , বিরহ , মিলন অবসাদ ;
ক্ষণিকে মিলাবে মোহ , তুচ্ছ বিষাদ
ভালোবাসা চোখ , ফসল আবাদ
জীবনের চাওয়া - পাওয়া , মলিন - বিবাদ
গাঁথা রবে ঘর - দোর , সাধের প্রাসাদ ।
যাতনা - বেদন , শোক যন্ত্রণা আমি
স্থির হবো চিরতর্ অন্তিম তরণী ।


বিষাদের খাঁ খাঁ ধূপ বিদ্ধস্ত সময়
নীরবে রেখেছি বন্ধু গোপন আলয় ।
অতি প্রিয় আছে যত মিলন বাসর
যবনিকা ঢাকা থাক্ ধ্বস্ত অন্তর ।
ফসল যা কিছু ছিল সমন্বয় ক্ষণ
সুবাসিত আঁতরের মলয় যাপন।


খুঁজে দেখ ধরণীর ধূলিস্মাৎ ধূলা
লেখা আছে রক্তাক্ষর প্রলয় অকূলা।
দীর্ঘশ্বাস প্রশ্বাসের নীরব কথার
প্রতি ইট পাঁজরের শহর নগর ।


চৈত্র এসেছে যত ঝাপটের দায়
বৈশাখ কাটা ক্ষতে বেদন ছড়ায় ।
জৈষ্ট প্রদাহ মতে আগুন জ্বালাতে
আষাঢ়ের মনস্তাপ ড্র্যান্টে গলাতে।


ইট , কাঠ , পাথরের , ধূলার জীবনী
মোহ ঘর সংসার ; খেলা বিবরণী
রয়ে যাবে অবিকল , আজব ভূমিকায়
ব্যাট - বল , সরঞ্জাম , চরাচর দেহ
নিমেষে ফুরাবে , তবুও খেলাবে কেউ
নিরন্তর সাধে ; আড়ালের অধ্যুষিত স্নেহ  ।