রেল লাইন ধরে হেঁটে যাওয়া মানুষগুলো
যাদের কাঁধের পুটলিতে বাঁধা ছিল
একগুচ্ছ শ্রমের রুটি, ওরা বেশিরভাগই লুটিয়ে পরেছে
লাইনের ওপর, কেউ পরেছে ট্রেনে কাটা
রক্তাক্ত রুটিগুলি ছড়ানো এদিক সেদিক
পাশে মৃতদেহ


ওরা কেউ বিদ্রোহী হতে চায় নি
চায় নি মালিক পক্ষের কোন অপঘাত
ওদের কারুর পকেট ভর্তি জহরত ছিল না, সোনাদানা
এমন কি অন্য নিরলস কোন চুক্তিও ----- ।


হোগলা বেষ্টনীর বেশ কিছু মেরামতের
আর পাঁচমাসের অনাগত একটাই স্বপ্ন নিয়ে
সকলের সাথে পথে নেমেছিল সেও
এভাবেই বয়ে যায়
চলে যায় ছেড়ে একদিন মধ্যের এই কলরব
কিছুই থাকে না কেউই থাকে না তবু
দরাদরি, অহেতু এই পান্থে কেন
এত অন্ধকার , এত কেন মানুষ বিচার


ভাদুরে উত্তাপ আসন্ন ঝঞ্ঝার আগেই ফেরা যায় -----
যদি আরো এক শ্রমিক গুটি গুটি পায়ে
ঝড় ওঠে ভেঙে চুরে হোগলার ঠেক্ যদি ----।


অতঃপর----
নিস্কৃতি পেয়েছে সেও ঠাহর হয়েছে
উদ্ধার কবলে প্রিয়ার সে ক্ষীণ চিঠি ---এইবার ফিরে এলে
খোকা হবে নুতন হোগলা ছাওয়া ঘরে |