কবিতা: কুয়াশা গ্রাম


ভালো করে পড়েছি তোমায় প্রতি পৃষ্ঠা
প্রতি ছত্র ছত্রে,
একরাশ আলো জ্বেলেছিল
নিয়েছি সেটুক,গুঁজে গুঁজে রেখেছি পালকে
মৈত্রীর দিনে তোমাকেও দেবো
তুমিতো হৃদয় ছেড়
দিনান্তের মুখে,আমি তার বিষন্ন কোলাজ
থরে থরে রেখেছি গুছিয়ে
উদাসীন সেইসব দিনে
আশ্চর্য আলোতে এগ্রাম পরশমণি হবে
অন্ধকার সরিয়ে সরিয়ে,
আমি তার স্ফুলিঙ্গ ছুঁয়ে আছি
সব মঞ্চ আলোকিত হবে সেই চ্ছটা
ছেটাবো দুয়ারে
সেই শব্দ আলোড়িত হবে পথ,ঘাটে,
হৃদয়ে, মননে
সে উচ্ছাস ভাঙবে গুমোট,
প্রতি তট প্রতিটা জোয়ারে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে তাদেরই মূর্ছণা
তখনই সময় হবে তুলে নেবে ঠিক
বে-খেয়ালে ফেলে যাওয়া মতিভ্রমগুলো !!


                       ২


কবিতা : দেখনি যা তা কেবল মহাভ্রূণ


খনন করেছ কি, হৃদয়ের আনাচ কানাচ
গোটা বিশ্ব এখানে রয়েছে
ফসফেট,হাড়, রক্ত,মাংস, যন্ত্রণা কোলাজ ?
টের পাও নড়ে চড়ে কোন গল্প বলে
যতটা বলেছ ,বলনি যা তার থেকে বেশি
রক্তে রয়েছে,জেনেটিক হয়ে
অতিক্রম করনি, যা করেছ ক্ষুদ্রাংশটুক তার
বাকিটা শুধুই পরিক্রমার !
হাড়ের ট্রাফিক জোট কোন কথা
বুকের ভেতর ?
কোন সড়কের মঞ্চে কে বুনেছে
অধর্ম ব্যারোজ,কোন কষ্ট কতটুক অশ্রুমোচন
দলবদ্ধ হয়ে আছে তার সঠিক হিসেব --
ছুঁয়েছ পঞ্জর ? কি দেখেছ টিক মার্ক
হার্ট শেপ লালাভ জগতে --
চেয়েছ যা তার থেকে বেশি মজ্জার ভেতর
রয়েছে মিলিয়ে,হা হুতাশগুলো
আক্রমণী রোগের মতন,ছুঁলেই সন্ত্রাস !
যা দেখেছ সব তার ছিল,দেখনি যা
সে কেবল মহাভ্রূণ গতির ভেতর
মহাজোনে নেড়েছে বিস্ময়
-- তুমি তার মাত্র গবেষক !!