সভ্যতা সরে গেলে কলি যুগ
নস্ট্যালজিক।
অযথা কুর্নিশ তবু মানে আর হুশে
বহু মিছে আবাদের ফলে
কুঠুরী প্রবাদ আর-
ধোঁয়াশা অসুখ ।
মিছেরা সত্যি হলে চতুষ্পদ
কোহেলিক ভ্রমে, আর্কিমিডিস তবু বলেছিলে পরম-
সাদর আর তথ্য জীবন-
কিছু ছিলো সান্নিধ্যে'র বিকল্প করোটি
চিবুকের কাছে--গেছে জ্বেলে বিড়ম্বনা।
তবু অর্বাচীন
তাগাদার ল্যাবে-
কোরকের রসায়নে প্রমাণ চলেছে
ঘিলুর প্রপাত আর ধমনী বিলাপ
মেলে না দ্বাপরে আর ত্রেতা
মিছে আড়ম্বর তবু ," দ্যাখো আমি
কলির প্রবর "।
.....................................................................................
কবিতাঃ @
কোথায় চলেছ পিছে কাব্য অভ্যাস ?
নুড়ি,কাঁকড়ের দলে বৃথা দীর্ঘশ্বাস !
অতলের তল খুঁজি কোথায় আশ্বাস
ডাকো কেন অযথায় জীবন প্রবাস ।
প্রেম যদি হেরি কেন মিছে চতুর্বাস
তোমা সনে হৃদয়ের গভীর নিঃশ্বাস।
কথাটার ঠ্যাং ধরি, শব্দেরা পিছে
গড়ে দেয় অবয়ব তোমার পশ্চাতে।
মিছে তুমি দুঁয়ো দাও কাব্য গড়ণে
বল যদি হব তার গান বেনুবনে।
ধোঁকা খাব থু থু আরো ততোধিক ল্যং
দুষ্কর স্বপ্ন মনে সর্বনাশে ক্ষণ ।
দলে যাব কোন দলে আদা,জল,ঘি
সঁপেছি জীবন যবে জ্বলে মরেছি ।
সারে সারে চলে কারা পাথর,মাটি
সর্ববুক গাঁজনে কি বিষোদ্গার খাঁটি ?
ছি ছি বলে দ্বার আঁটা সমাজের গায়ে
কলঙ্ক লেপন নর খাদ্য হয়ে যায় ।
বৈতরণী বলে চলো বিবাহ নামক
ওং মন্ত্র ভস্মে ঢেলে শিখো এ সবক।
আমি নয় যে দেখায় পথের নিশান
তুমি তার সঙ্গী কেন হায় কি বিধান!!
ঘর,গৃহ কান্দে কয় কে কাহার গৃহী
গৃহী চলে পরশের রতনে বিরহী ।
ঘটি,বাটি,জল,গ্লাস কারে যেন চায়
কয় তুমি অযথায় বিষাদ বাধাও ।
লিখে চলি কত কথা আমাতে তোমায়
দিব্য শুনে মৃদু হাসে কত তামাসায় ।
সেই সুখ মহামারী লোলুপ জগৎ
ওৎ পেতে সর্বহারা শেখায় সহবৎ।
নুড়ি,কাঁকড়েরে বলি বন্ধু হলে তবে ?
অকস্মাৎ মরুঝড়ে কি স্বপ্ন রটাবে ।
ইট,কাঠ,পাথরের গাছ ফুল পাখি
বনে যাও তরণীর করুণ বিবাগী ।
আলো দিবো তরুতল ছায়া পরম্পর
সুধা অারো দু'কদম তোমাতো নির্ভর।
বৃষ্টির জল মাখো পুষ্ট কোমলতা
বায়ু দিব খাদ্যের অতি সরেসতা ।
তবুতো রয়েছি পিছে অনন্তর চলা
রাস্তারা সাথি হলে কাব্য চালকলা ।
ফুস মন্ত্র দুকদম রেখো পরস্পর
ততোধিক দমে মন প্রিয় নিরন্তর।
.........................................................