নিত্যকার মেয়েবেলা থেকে
একটু ছুটি নিয়ে মন.......অনেক তো দিন
নিজেকে দেখে দেখে কেটে গেল
সাজগোজ,সাঁজবাতি,সান্ধ্য টিফিন আর ব্যালকনি ক্যকটাসে
তবুতো উলুধ্বনি বাজেনি সঠিক ঝংকারে
আজও বহে চলা সাজা তার,ওরে মন-
তবে কার টবে সেজেছিলি গুচ্ছ জীবন--
বীজ বুনে জল,বাতাসের সংস্থানে
কারে তবে ভেবেছিলি সঠিক বনিয়াদ---
সেদিনের সালিশী বিচারে--
ঝড়ে গেল গুচ্ছসুখ ফরিয়াদ বিগত সময়
কিছুটা যখনো বাকি মানুষের সমাজ জ্ঞাপণ
তখনি প্রথম তুই হাতে নিলি অবরুদ্ধ ফল
শ্রমণ ঝড় হয়ে আছাড়ে আছাড়ে কালগুলো বিলীন যখন
তুই কত পরবাসী মন,বুঝে নিলি নাইবি প্রথম
পাহাড়ী ঝড়নায়,ডিঙাবি নীলনদ, বরফ পাহাড়
ফেলে রেখে সাঁজবাতি ঘর,প্রথম ছুটবি দিগন্ত বরাবর
খোঁজ নিবি অতলান্ত চাঁদ কার চড়কায়
অনিবার বুনে চলে শনের পাহাড়।
যেদিন প্রথম ছুটি চেয়ে মন
মেয়েবেলা থেকে নৈঋতের দিকে-
আবর্তন বোধে ফেলেছিলি উলুদ্ধনী,শঙ্খ বিলাপ
সেদিনের আড়াল যুগের আবহে মুছে দিল-
একমাত্র মেয়ে নাম
দিকে দিকে প্রতিদ্ধনী বয়ে
ছুট ছুট ছুট
সেই প্রথম পৃথিবী আবিষ্কার
ছুঁয়ে দেখা বন্যা,সুনামী ধ্বংস বিপর্যয়
ফুটপাত নারকীয় অগাধ বসতি অবক্ষয়
তারো মাঝে প্রাণসঞ্চয়--
জলের অতল গুপ্তচরের ঘূর্ণি হাতছানি
তারও পশ্চিমে পরিত্যক্ত মানুষ সন্তান আগলায়
অবৈধ সারমেয়।
মন তুই ঘর চেয়ে পৃথিবীর মুক্ত আকাশ
ছেয়ে গেলি দিকে দিকে অগাধ মুক্ততা
ছেয়ে গেল প্রবাহ সংবাদ
কত তোর সমাদর,খাতির,আদর
দেশ দশ ঘুড়ে খ্যাতির পাহাড়
স্বভূম চেনাল ফিরে মেয়েবেলাটাই
ফিরে দিল শঙ্খ,সাঁঝবাতি,উলুধ্বনী, ঠাকুর দালান
একরাশ সংস্কার,আচার বিচার আর
মেয়েনামা গুচ্ছ সহজাত কিছু অপারগ ধূর্ত কদাচার
বুঝি এরই নাম সমাজ প্যাকেজ মেয়েবেলা।