এখনও তেমনি খৃষ্টেরও আগে
রক্ত পাথরে খোদিত প্রশ্বাস, মাটির গভীরে
গোর দেওয়া কালভার্টে যীশু ঈশ্বর
আদলটা বদলেছে শুধু ,চোখে মুখে নাট্যরুপ তৃতীয় দৃশ্যে
অনাবাদী শষ্য গোলায় চুপে রাখা কাঁটার মুকুট
আর অন্তিম অভিসার          
ইজরায়েল জেনেছিল দুর্নিবার তুমি বুঝে নেবে
আর্ত চিৎকার , পথ চেয়ে কাননের বিগলিত বুকে
নিঃস্ব হল সভ্যতার ধ্বস্ দু'দশক যীশু
বলে গেল একে একে নিঃশেষিত  
সাধের যাজক দেহ রাজ্যপাট
বুঝলেনা রোমানী ঈশ্বর ।


সম্বিৎ ছেড়ে গেলে কষ্টের দলা চুঁয়ে নামে
নিঃশ্বাসে চির্ ধরে রুদ্ধ গলায়
ভূ-গর্ভে খাবি খায় দেশপ্রেম দরদের
শেষ আর্তনাদ ;


তারপর জন্ম নেয় জাহ্নবীর কালে শেকল প্রদেশ,
ছুঁড়ে দেওয়া পাটকেল অস্কারে সম্ভ্রান্তের
মানবিক দেহ ;


রোমে সেই সূয়যজ্ঞ অভিষেক কালে
যীশু যার চূড়া জুড়ে জ্বেলেছিল আলোর মশাল ;


প্যালেস্তানী প্রফিটের গোলায় ইহুদির কোলে
শরনার্থী মিছিলে কান্নায় জরাজীর্ণ জন্মান যীশু
স্বাধীনতা ফেরাতে ; হেঁটে যান শহর শোধনে .............
অন্তিম যাত্রার শেষ সূত্রে গুঁজে দেন প্রিয় শিষ্যের হাত ;


একজিবিশন হলে প্যলেস্তানী' সমাবেশ
শরীরটা নড়েচড়ে উঠলে ঝুঁকে পড়ে শিষ্যেরা
কানে,মুখে,চোখে অঝোর ধারার  
অন্তিম অশ্রুপাত
রক্তের বিছানায় মিলিয়ে চলে যান
দু'ই সম্প্রদায়ের হাত ।


সেই যজ্ঞে নীরবে নেমে আসেন তিনি আরব দুনিয়ায়
চুপটি করে বসেন রোমানদের পাশে
গোর দেওয়া কালভার্ট পাথর স্তূপে
আফ্রিদিতির অপেক্ষায় , শলাগৃহে -
মন্ত্র দেন হ্যাঁ, এগ্জিকিউশন রেড হিল ডোবালো আমায়
শেকল প্রদেশে প্রাঙ্গণ গড়ো পাথর মাটির
শয়ে শয়ে মুক্তবীর আনো ; ধ্বনিত প্রাঙ্গণে জন্ম নিক
সহস্র ইহুদীর রক্তে রাঙা অগনিত যজ্ঞ প্রাচীর
প্যলেস্টাইন ,প্যলেস্টাইন পাশাপাশি ঘাম রক্তে
প্রতিটি মোহ্ থেকে ...................কাঁটার মুকুট ?


নাহ্  প্রাচীর বদলে একই অাঁকাশ
চূড়া থেকে বাহু থেকে শব্ থেকে নেমে যাক শোক্
টিকে থাক যজ্ঞ প্রাঙ্গণ অঝোরের অশ্রুপাত  
গোত্রহীন বধ্যভূমিটায় থেকে যাক্
দু'দন্ড শান্তির অনন্য আলোক।