আমি গাড়িতে বসে , চেঁচিয়ে বলতাম
অমলাকান্তকে আমার চাই
ওর বাঘনখ, ঝাঁঝরির ব্যট বল, কোর্টমাঠ, প্রাগ্ যুগ ইতিহাস
সব  


ওর কচি জোড়া গোঁফে প্রথম দেখা
কৃষ্ণের যুগল প্রণয়
জানলা আড়ালে প্রতিরোজ ইশারার
শত বৃন্দাবনী মাথায় রেখে দিত
ঝাঁঝরি নূপুর
গাড়ীতে স্বয়ং চৈতন্য বসতেন প্রতিরোজ
সারা গায়ে কেয়ুরের তেল ঢেলে শান্তি দিতেন
মাথায় আলোর ঝিলিক


তিন প্রকার আলো খেলত তালুতে
শুরু হত সার্কাস  তৈলাক্ত বাঁদরের
প্রকৌশলে অমলাকান্তের ডুগডুগি যাদু।
আমি হেঁটে যেতাম নিষিদ্ধে, বায়ুর ওপর জলের ওপর
অগাধ ঘর বাড়ীর ওপর
ও আমায় স্বপ্ন দিত


বাঁদরগুলো মুক্তি পেলে কোটরবন্দী করা হত
তৈলাক্ত শরীরে হেঁটে যাওয়া নিষিদ্ধ বলে
দড়িতেই সীমাবদ্ধ ছিল
ক্রোধে প্রায়ই ছুড়ে মারত কাঁচা বেল, ডাব আরো কত কি !


অমলাকান্তের  
নৈমিত্তিক ডুগডুগি,
বাঘনখ তখন আমার হাত,পা,শিরায় আহুতি জ্বালছে
পথে শান্তির মা'র ভৈরবী
মন্ত্র , ' ওংঁ বিষ্ণু ওংঁ বিষ্ণু
মিলে যেত ক্রমে মাদারী খেল্ প্রাঙ্গনে
আর
গাড়ী জুড়ে অশান্তির জলে বিষদৃশ ক্রম অস্তিত্ব
বিলীন
জায়গা,জমি, রুপ,যৌবনে আমিত্ব
আর শান্তির জলে ধেই ধেই করে আমার গারদ ।