নারী আমি, নারী নারী নারী
বিশ্বমিত্রের আদেশপ্রাপ্তা ভ্যূ-লোক গান্ধর্বী'র-
পয়োমৃতা পানে সৃষ্টি' সম্ভূতা,
শেকড়ে আমার কুহক আড়ম্বর
যে ভ্যূ-লোক দর্শনের পর আমার জন্ম-
মাত্র ক্ষনিক উচ্চারণে


গান্ধর্ব্য,গান্ধর্ব্য ,গান্ধর্ব্যে আমি স্বয়ংম্ভূতা
অকৃপণ সময়ের দ্বারে ঠাসা -
আমার যোনী, প্রত্যঙ্গ, ত্যেজ
সীমাবদ্ধ  সীমিত পরাক্রমে
উত্তুঙ্গ গিরিশৃঙ্গার আমার জানুতে স্থাপণ হল-
শুধু রমণের স্থপতি, পাঞ্জায় পুরুষ নিষ্পেষণ
জঠরে স্থিতিশীল আধিপত্যের উত্তরণ
নির্বাক ঋষিরা স্থির করলেন দৃষ্টি-
স্বর্গে পুষ্পবৃষ্টি প্রসন্ন পুরুষ ," অহো "


মোক্ষ ফলে স্থিরিকৃত বাক্শক্তি
দৃষ্টির বহ্নি কর্মসূচী করণে লেখা হল "অবলা"
গার্হস্থ্যের চতুষ্কোণে নিয়তির অবরোধে,
শংসা , রমণী।


সমাজ বলেছে ,মানুষ বলেছে
হাত-পায়ে,নখের ডগা থেকে চুল, আধাঅাধি আমি
আধিপত্যের ঋষিরা মুখ তোলো
কোশা-কুশির অমৃতযোগে সৃষ্টি করো
যোনীলব্ধ কামাগ্নি স্খালনের বীজমন্ত্র
ছুড়ে দাও কোষামৃতের জ্বালে-
বশীকরণ বীজ্


যবনিকা থাক্ শ্রেণীলব্ধ শিশুকাল
টলে যাবে শৃঙ্গারে দশ মহানের পরিসর ব্ব্যাস্
অলংকৃত কর আমায়, চর্চা হোক্, ততক্ষনে আঁতর-কেয়ুরে-
আমায় বক্ষলগ্না করো,


আমি চাই মোহের ঝলক, কেয়ূরের টিপ, মুগ্ধ পরিসর
আর বিশ্বামিত্রের ঢালাও কামান্ধ তন্ত্রযোগ-
শুদ্ধির উচ্চারণ, নারী নারী নারী-
নারী আমি, ঋষ্যাদেশপ্রাপ্তা
প্রগাঢ় যজ্ঞসম্ভূতা ।


(আজ নারী দিবস,আসলে আমাদের সমাজ ব্যাবস্থায় যে সব মহিলারা রাজনৈতিক ও সমাজনীতির প্রেক্ষাপটে ক্ষমতা ও অর্থের সমানাধিকারে অগ্রগন্য শুধুমাত্র তারাই সমাজের সম্মাণ,সুখৈশ্চর্য্য ও স্বাধীনতা ভোগে সক্ষম হন, শুধুমাত্র কিছুসংখ্যক (কর্মজীবী) নারীর জন্য আলাদা করে নারীদিবস পালনের কোন কারণ হতে পারে না।)