সংসার ফাঁকা করে দাঁড়িয়েছি ঠায়
মোহের গন্ধ পেয়ে আঁধারে আলোক
দ্বন্দপ্রায় পরিধী পর্যায়
সরে যাবে জনার্দন ঠেকিয়ে সহায় ।
আমাকে শুষবে বলে গোলকের ত্রাতা
নানা ছলে কোষ্টি বিচার
বিধানের অপয়া বিশেষে
সংসারে ঘর নেই যারা পরিত্রাতা ।
জেগেছিল কন্ঠে মোহের প্রলেপ
কথাকলি প্রাণ সঙ্গীত
টবের গাছের বনে ধন্য সহায়
কেউ নয় তার বুকে আমার সান্ধ্য হোক্ ।
পাছের লোকের চালে আরো সংবাদ
এইবার থলি খুলে জানানোর লোক্
কবে থেকে রয়েছে পিছের ,
প্রেম এল তবু তার হল;না প্রভাত।
পথের দু'ধারে আছে জনতা উৎসুক
কিছু পরে দানাপানি ছুড়ে
চোখ,মুখ. চেহারায় ছুড়বে প্রবাদ
ছাঁতলনে বেমিসাল অজানা প্রমাদ ।
কবিতা - (২)
এবার ফেরানো যাবে না আর তোমায়
মনে ফরাসের গন্ধ লেগেছে
পশ্চিমী হাওয়ায় ;
বহুদূর দাঁড়িয়ে চিনতে হবে
জানতে গেলে হোঁচট্ খাবো ;
বলতে গেলে ত্রিবেণী সঙ্গম ঘুরে জ্যন্ত থাবা বসাতে হবে
গ্লোবাল অভিধানে ; তুমি বহু অভিকর্ষ ছুঁয়ে চলে যাচ্ছ-
আরেক জ্যামিতিক নকশায় ;
টুকড়ো কাঁচের প্রতিবিম্বে
অার তুমি নেই;
যে কাঁচটায় মুখ ছিল ,সকাল ,দুপুর,রাত্রের
আজ অনেক টুকড়োর মধ্যে তাকে আর খুঁজে পাই না ।
যেন সে পৃথিবীর কাছে গেছে ;
তোমার মতো , অারেক বসন্তের সন্ধাণে
সেখানে সারাবছর সবুজের-
কুহু কোকিল আর ঝড়নার মিহি সুর ।
তোমার বিমর্ষ লাগে ;
মাঠ,ঘাট,বস্তির সরলতা ,
উদাস দুপুর চৈত্রের খাঁ খাঁ রোদ আম,জাম.লিচু
এঁদো গলি;ডাস্টবিন ; বিকেলের কনে দেখা আলো।
গা গুলোয় ;
ঝালমুড়ি ; ডালমুট; ফুচকা'র খুনসুটি
লেবু চায়ে হৈ চৈ ;
তুমুল ঝগড়া শেষে গলাগলি , দলাদলিগুলো।
তুমি যাবে মেঘেদের সাথে-
তুষার ছড়াতে ,প্রপাতের গায়ে দুরুহ তুষারে,
তোমাতে তৈরী হবে বঙ্গের প্রথম প্রণিপাত
রেশমী কাপড় আর সূচী সম্ভারে সম্ভ্রম প্রণয়ী
ঘরগুলো পথগুলো হাঁটাচলা ঠাট্টা-তামাশা
জমা হবে রসদের আঁনাচ কানাচে ঝাপসার বিবর্ণ স্তরে।
রয়ে যাবে তুমিও তেমন-
কাব্য জুড়ে স্মরণের এখানে ওখানে ,
মাঝে আমাদের জানাশোনা কাব্য সাগরে সমর্পণ
রয়ে রয়ে ফিরে যাবে মোহনার বাঁশি
ভরপুর ক্ষুব্ধ অবসাদে ; পান্ডুলিপি জুড়ে দু'ফোটা অশ্রু-
আর আহত দীর্ঘশ্বাস-
যেন কার হতাশার বিমর্ষ প্রণয় ।