তুমি এমনভাবে চলে গেলে যেন কোনদিনই আসনি ,
ছিলেনা কোনদিন , কোনদিনই.........
আসতে শেখনি তুমি,
বুকের পাঁজর ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে হেঁটে -
গেলে চলে প্রভাতের রোদগুলি রেখে
উড়ন্ত ঝড়ে ধূলির পাহাড়ে রেখে মরু স্বাক্ষর
শুষনির শাকে সবে প্রভাতের আলো
প্রথম ঘিরেছে পথেদের ঘরেদের চালে বিপন্ন উচ্ছ্বাস ,
ঝড়ে ঝঞ্ঝায় যেন তুমি ছিলে আগলে জোয়ার
ঘরে মেঝে চলেছিলে বাতাসের পাশে
থালে অবশিষ্ট তার উচ্ছিষ্ট প্রশ্বাস
ডুবে গেছো অতলান্ত পশ্চিম পাড়ে যেন কতদূরে
কবেকার ছত্রাকার ছায়া চুঁয়ে মানুষের ভিতে
দিতে এলে মরকের বিষন্ন বাতাস ,
কান্না দেখনি ঢাকা ছিল তসর রুমাল
কিঞ্চিৎ ভেজা দেখে গাছের ছায়ায় পৃষ্ঠা জুড়ে
শুধু অভিযোগ ,
তখনও তো চেয়ার,টেবিলে, সিঁড়ি কোঠা , সানসেট সোফা,
ক্যাম্বিসে আধভাঙা তুমি
এর,ওর কাটাকুটি খেলা জাঁকিয়ে তুলেছ !
ড্রয়ার, কেবিন ,সেলফোনে ছিলে তুমি যেন অবিকল
বলতে বলেনি বলে খালি থেকে গেল সব ধূ ধূ মরুচর,
কখনও দেখনি তাই নিকোটিন কালো ছাই
অতৃপ্ত অন্তর ,
গুটিকয় মানুষের ফাঁকা অন্তর শ্মশানের মুখে
দু' দন্ড শ্বাস ফেলে ঋণ শোধ দিলে
বেশ ছিলে সেদিনওতো অবিকল তুমি
যোতদার নিলাম মিছিলে ,
অভিনব কারুকাজ খেয়াল-ই করিনি ........
গেছ চলে কবে
দাম্ভিক স্বর শুনে দূর থেকে দেখি
তুমিই তো ,অবিকল তুমি !!