জানিস, আমি এখন অনেক কিছুকে উপেক্ষা
করতে শিখেছি-
পাহাড়,সমতল,সাগর , বসন্ত প্রকৃতির সবটা ;
আমার স্থায়িত্বের মধ্যে ওরা ভাস্কর্য্য ছড়ায়
আমার উপেক্ষিত ফর্দটিও
লিখে রাখে কতিপয় যাপনের নাম ,
ফিতে খুলে দেরাজের সালংকারা আমিকে নির্বাসন দিয়েছি কবে ।
অথচ গোলকের মধ্য থেকে আজও বেড়িয়ে আসি
একটি স্ফটিকের জন্য , একটি জিনিসের জন্য
পৃথিবী ঘাড়ে নেওয়া প্রকৃতির ভাস্কর্য্য পিতাকে বলেছি
অন্তত একটি স্ফটিকের জন্য জিইয়ে দাও
কপোলে এঁকে দাও ওং মন্ত্র
আমি নাগালের বাইরে চলে যাবো
অসহ্য তীর্যক নেত্রে ঘৃণা ছেটাবো
ভীরু মধ্যমার মাথা খুবলে নেব
নির্লজ্জ ক্ষুধায় কষে দেব দড়ির বাঁধন
সিঁথির ললাট জুড়ে ক্ষয়ক্ষতির নীলাভ চিহ্ন
ঢেকে নেব হলকা কুয়াশায়
সহবাসের ছাড়পত্রে অগাধ স্বৈরাচারে
দৃষ্টি জুড়ে মুড়ে নেব ভ্রমের পাথর
জায়গিরে তাঁক করা আগ্নেয়াস্ত্র
ধ্বংসস্তূপের ছাই উড়িয়ে প্রলয় নাচুক
পলায়ন করব ।
ভাস্কর্য্য পিতার ঘাড় থেকে তুলে নেব ভ্রান্তির ভাড়
দাঁড় করাব আলোর মুখোমুখি
চোখে ফেলব নির্মম সত্যের ফোকাস
গতদিনের সময় থেকে, জন্মের সময় থেকে, দাঁড়াবার সময় পর্যন্ত
আস্ত জীবনের সিলেবাস ।


জানিস, আমি জন্মের জন্য,মৃত্যুর কাছে হাত পেতেছিলাম ।
বলেছিলাম , আমার এই সুদীর্ঘ সময়টুক প্রকাশ্যে আনতে চাই
শুনে ওরা ভিরমী খেল , নখের গোড়ায় সূচের থার্ড ডিগ্রী , পেঁড়েকে আমার ক্ষতচিহ্ন।


বিগ্রহের মতো তোদের চলাফেরা দেখছি
দেখছি নৈবেদ্য দানের মহোৎসব ।
আমার সমস্ত খাদ্য ঝুলিয়ে দিলাম বৃক্ষ কোটরে ।
আস্ত নদীটা বাবদ পাহাড়টাও
স্থায়িত্বের শেষ রহস্যে আজ ত্রিশূল হয়ে দুলছে
ঘাতকের পাঁচ আঙুলে ।
সমুখে অথৈ সাগর,নদীর সঙ্গম
জলাশয়ের অভিসার
পাঁনা,পুকুরের গোপন প্রণয়
খাল,বিল,খানা,খন্দের বিনিময়
স্থবির আমার অস্তিত্ব জুড়ে ভস্মের শ্মশাণে
গোটাকত্ নিষাদের ওড়াউড়ি ।