কোন পথ নেই আর
জড়িয়ে পরেছি লোহার শেকলে,
মুখে গোঁজা প্রেতচ্ছায়ার সন্দিগ্ধ সন্ধি
নির্বাক রাজা ধুয়ে দিয়েছেন
বিচ্ছিন্ন পাপ।
গাছ জুড়ে একটাই
শৃঙ্খল একটাই ভবিতব্য
চেতনার উর্ণনাভ , পাতাদের শিরা বেয়ে
একটানা ফিসফিসে

গলায় ঝুলছে এ কোন কবচ
মৃত্যুর পরেও মৃত্যু? অজস্র আঁওয়াজ
উঠতে চেয়ে থেমে গেছে জন্মের মত
পথ আগলে বেঁচে থাকার
লকেটে ঝুলিয়ে দিয়েছে কেউ
কিংবদন্তীর পৌরুষ
থমকে চলেছি  
শুষ্ক কন্ঠে অজস্র উত্তাপ
হাত পেতে আছে ভিক্ষার


অধ্যায় নেই প্রাণের আর, হাত মিলে গেছে
আগাছ উপড়ে ফেলার
ভালোলাগা গুলো উত্তাপহীন কবরে শায়িত
শেষ শ্রদ্ধার শর্ত রেখে আড়াল হয়েছে
বছর মাস দিন


আসবেনা কেউ আর
দু'চোখে দীর্ঘশ্বাস ঢেলে
শর্ত মেনে নিয়েছে শহর
চোখ মুছেছেন প্রপৌত্রের বংশধর
বরং আশ্লেষগুলো তোলা থাক


চির শ্রাবণধারায়
শালু দিয়ে মোড়া হোক
বৃদ্ধ বনিতা
দলবদ্ধ পত্রচ্যুত বিক্ষুব্ধ শাখায়
আঁৎকে উঠে যেদিন
রজঃক্ষেত্র দেখেছিল চাঁদ নয় বিকৃত ছায়া
ঝড়ে গেছে মরে গেছে ওরা
পাশ কেটে ঝুলে আছে
আজও
শহরের মোড়ে।