আজও চলেছি বিরামহীন,নিশুতির ভ্রান্তি সরিয়ে
সময় কালপুরুষ হয়ে গেছে বোধহীন লক্ষেরা
সাজিয়েছে আমার গন্তব্য,পা ফেলার উপায় নেই-
চ্যুতি হলে বিষময় ধুয়ে যাবে স্থাণ-পরিস্থিতি
খুলে যাবে অগনিত বিষোদ্গার স্বনামে-স্বজণ-
চলে যাবে এ-যাবত্ সঞ্চিত রিক্ত সরঞ্জাম
কিছু তা-ও গেছে সরে  কি জানি কি ভেবে,
কিছু আছে অনিশ্চয় তীব্র সংশয় বয়ে নিয়ে
সারি প্রলাপ,অব্যক্ত তর্জনী দোষারোপ অযথাই-
বিব্রত চুপিসারে আমি পার করি অধ্যায়,বিবর্তন-
ধাতস্ত হও,আমার অক্ষমতা ঢেকে দাও নীরব-
দৃষ্টিপাতে,আমি অভ্যাসকে নিরুপিত করে নিবেদিত
হতে পারিনি সময়ের কাছে,আমার আবছায়া জোলো-
মেঘ হয়ে বলে গেছে অন্য পার খোঁজো,আমাদের লেনদেন-
রয়ে গেছি আগেকার পর্যায়ে গাঢ় কুয়াশায় জ্যোত্স্না-
বৃথা অন্বেষণে,চলেছি দুরাশার তীব্র সংকটে,
সারহীন অক্ষম আমি ভাষাহীন হৃদয়নমুনা-
দিতে পারিনি অর্থবহ কথা কোনো সংবাহী ইথারে-
গোছা গোছা অমৃত সাধেরা নীরবের সাধনায়-
কালের শবের কাছে পাশাপাশি দুঃস্থ থেকেছে,সময়,
আজও চলেছি বিরামহীন নিশুতির ভ্রাম্তি সরিয়ে।।