একটি সে স্থাণ দেখেছি যখন কে যেন রেখেছে আসন
স্মৃতির দুয়ারে রেখে অনুভব পথ বলে গেছে আপন।
তখন দুয়ার শুধুই আঁধার সময় পিছু ফিরেছে
অতীতের স্বরে বেদনা প্রহরে আলগোছে কি যে বলেছে।
ছিলেম কাতরে কোন্ নির্ভরে আলো ভেবে ছায়ারাত
দিয়ে গেছে ফাঁকি হেরে গেছি মেকী সত্যের অজুহাত।
দিকে দিকে ফেরে বাতাস প্রহরে বৈশাখী সমাচার
দেখেও না ফিরে অন্তর জুড়ে এ হৃদয় হাহাকার।
একলা নাবিক পথ ভুলে গেছি নিশানাটা গেছে সরে
সেই ফাঁক তালে সুযোগেরা খোঁজে দস্যুর বেশ ধরে।
আমিতো জেনেছি আঁধার ঘনালে কেউ আসে প্রাণ ঢেলে
দরদী হৃদয় আশা জ্বেলে দিয়ে মৃতেরে বাঁচায়ে তোলে।
দুঃস্থ চলেছি আপন ভুলেছি সমাজের ধাঁচে ভুল
যদি বলি সবে বহিবে সরবে সমাজপতির শূল।


তোমরা চলেছো পৃথক সারিতে কোনো দোষারোপ নাই
আমাদের বেলা শুধু অবহেলা সমাজের পোড়া ছাই।

পাশাপাশি তবু তুমি মহাভোজ আমি নিরন্ন নিয়মহীন
তোমারে সাজায় প্রতিবেশী হায় আমারেই উদাসীন।


কত না সাদরে সমাজের বরে তুমি চলো উদ্ধত
আমি যে সদাই পিছে পরে রই নিরবধি অবনত।


তোমার কদরে উর্বশী খেলা মেলে ধরা রং বাহারে
আমার জীবনে নিরামিষ ডালা বরাদ্দ এই নগরে।


গেছে ইংরেজ স্বাধীণ হযেছি সতীদাহ প্রথা ভুলেছি
তোমরাই পুনঃ বল অভিন্ন নারীর নির্বাসন দিয়েছি।


বলেছো শুধুই মানোনি কখনো পুরুষ নারীর প্রথা
একঘরে তার রেখেছো প্রথার ভিন্ন জীবন যথা ।


একটি সে স্থাণ থেকে মহীয়ান বলে যাই সত্যেরে
মানো বা না মানো আজো ধরে আছো অতীত সংজ্ঞারে।