(রুপক কবিতা)


শুনেছ কি দুর্দিন নিদারুণ হায়
মাঝরাতে পতি মোর হিমালয়ে যায়


ঘুমঘোরে ওঁম নাম তিনবার জপে
বোল ব্যোম্ মন্ত্রে কিম্ভুত আদপে


হেঁকে কয়,চলো উমা হিমালয় ধাম
পতির পূণ্যে সতি গতি হেরিলাম,


নন্দী,ভৃঙ্গী সনে ডানে,বামে যত
আছে রয়ে মোর থানে চিত অবনত


কুন্ডলী হাতে দাও,ত্রিশূল,ভূষণ
বাঘছাল,জটাজুটো ভস্ম আভরণ


চেয়ে দেখ সন্তানে তাপিত দুঃখিত
পিতা,পিতা কলরোলে হাঁকিছে নিয়ত


খোল তব বাহুডোর সিংহদুয়ার
ডাক শুনে হবে যেতে মুক্তি লভিবার


ধরো হাত কি বা ছাড়ো খনেকের তরে
ভ্রমি চলো চিরসুখ মোহ পারাবারে


হেন কথা আঘাতিল বারেক বিভ্রম
পতি মোর কি আদেশে উদ্ভট্ সম্ভ্রম,


নানাভাবে,নানারুপে হেরি অবশেষে
স্বপ্ন নয় মতিভ্রম নির্ণিত প্রকাশে


দিবাছলে,কতবলে,নানা আয়োজনে
কোথা জটা,বল্ক ফল,হানে গর্জরণে


হায় পতি,হায় গতি,একি তাড়ণায়
ক্লিষ্ট অতি পতি মোর রসাতলে যায়


হেনকালে,অতিবলে হইল স্মরণ
খেন্তীর ঝাঁটাগুণ করিনু বরণ


হ্রিংক্লিংঝাপটার অতি বড় গুণে
গতি ফেরে পতি মোর হুশ্ মর্ত্যধামে,


একি ছিছি,নাকমলা,কানমলা খতে
বাধ্য হইল পতি মোর সাংসারাবর্তে