কৃষ্ণ তুমি বলেছিলে,"বুজরুকি সব
            ভালোবাসো অগাধ প্রচুর,"
        আজও যেন নড়ে-চড়ে ওঠে চাঁদ
            প্রতিদিন ভিন্নরুপ অসমান।


                কৃষ্ণ তুমি বলেছিলে,
                 "মনে হয় ঘর বুঝি
                     মায়াজাল প্রেমিকার চিকন চিবুক্"
                       তোমার ঘর্মশ্রম মিশে গেলে
      চিরস্থায়ী সুখ,ঘরে জমা প্রেমিকা হৃদয়
         বর্ষাশেষে গাছেরাও বাড়ে ধাঁই ধাঁই
            আলো হাওয়া কাড়ে।


                       তুমি বলেছিলে,
            "ছোট করে কেঁটে দিলে ঝাড় হয়ে যাবে,
                   ফুলে ফুলে স্বর্গোদ্যান
                 ওরাওতো মেঘ স্পর্শ চায়।
             যে বাড়ীটায় তুমি থাকো সে বাড়ীটা কি-
                        মেঘবাড়ী নয়"?
                   অযত্ন থাবা দিয়ে ভেঙেছে স্বচ্ছতা,
              আকাশও বিদ্রুপ করে,বৃষ্টিচ্ছলে-
               জলকণা বেঁকে যায় সরে।


                   তুমিওকি দেখেছো কৃষ্ণ,
                 নিষ্করুণ কি উপেক্ষা প্রবল?
         ফাঁটা ফাঁটা সানসেট্ রংচটা ছড়ানো দীনতা
           এর মাঝে বাঁচে প্রাণ শুনসান্ তুমি আমি,
       আমাদের মেয়ে,ভাবছো হয়তো,বিস্তর ব্যাবধান জমে-
            নিরেট পাথর মন,প্লাবন আসে না কিছুতেই
           এমনইতো হয় মাথা থেকে সরে গেলে ছাঁদ-
        ব্যাপক রৌদ্র জমা হয়,জন্ম নেয় রাধা এক,দুই,তিন...
               সীমাহীন অভিকর্ষ বলে বিপ্রতীপ টানে
                        ঘর ভাঙে ছাড়খার।


                       তুমি বলেছিলে মনে আছে?
                   রাধা নয় বুজরুকি সব---
            তুমি আমি ভালোবাসি আজও
সংসার সুখ আশ্রয় নিরাপদ।



  (কবিতাটির রচনাকাল সম্ভবতঃ ১৯৯৭-৯৮ হবে)