তারপর আমাদের দেখা হবে চেনা সেই পথে,
হ্রদ্ বা সাগর,কোনো নদী মোহনায়
অথবা নিবিড় কোনো পার্ক উদ্যান কিংবা
নরোম কোনো মৃদু আলাপন সুপ্ত মনোরথে।
আগামী,কাংখিত অধ্যায় থেকে খুঁটে নেবো
একটি বিকেল,কিছু স্বস্তি যাপন,বা তীব্র আগুণ
তারপর,তার জ্বালে আগামীর ইচ্ছের নুন,তেলে,
অনীহার খবর বানাবো,জানবে না কেউ,কোনভাবে।
কোন্ আঁচে ঝঁলসানো সুখ-পোড়া ছায় হল
আরো কোনো নব্য নবীশ উত্সাহ খোঁজে
ঝাঁকে ঝাঁকে মাছেদের মতো জলের ধারায়
বয়ে যাবে অনন্তের সৃষ্টি সন্ধাণ করুণ বিকেল।
তারপর,ডেকে যাবো অনন্তর কোনো সূত্র ধার করে
শুনবে না,কেউ শুনবে না কবে কে রেখেছিল হাত্
দেখা যাবে সেই নিরুদ্যম কোন অঙ্গীকার অন্য কেউ-
মেখেছে অবাধ,অতঃপর সমন্বয় দৃষ্টি স্পৃহা নিরুত্তরে-
নিত্য যে কাহিনী গড়ায়,সিঙ্গুরের পথ ধরে দিল্লী প্রবাহে-
হয়ে কামদুনি সংবাদ ভোরের পাতায়,চায়ের আবহে।
তারপর,আমার কোষে শত প্রার্থী প্রত্যাশিত ভীড়
শত জীবানুর, আরো বাসস্থাণ,আরো আরো-
দাবীর আঘাতে এগোবে লেলিহান অসংখ্য পিপাসা,
খাল্-বিল্ নদীপথ ধরে অবশেষে-মিলাবে সাগর।
তারপর,ঢাকবো পরিত্রাণ দুর্বিসহ বিষে ,
পরিত্রাণ কামী, ভ্রুণের শেকড় পরিমান
অনিবার্য্য পরিণাম হয়ে আবারও কোনো
মহাক্ষণ,মহাকাব্য হবো জনতা চর্চিত রোষে।
এই পোষা চির অভিলাষ সাপ হয়ে
মারণ কামড় ঢেলে দেবে বিষ পরিত্রাণ
চোখ-কান বুঁজে আমাদেরই পেট চিরে
জন্মাবে ওরা পৃথিবী শেকড় টান বহে।
জানবেনা কেউ ,কেউ জানবে না,
আবারও-লালে লাল বাথরুম ব্লেড
চিরে আত্মঘাতী হবে প্রকৃত সন্ততি
বুঝবে না ওরা কোনদিন কেউ বুঝবে না।
(পুরানো সংকলন থেকে নেওয়া)