কষাইখানায় ভীড় জমেছে , মানুষ খরিদ্দার
হচ্ছে চালান চারপেয়ে জীব , মুরগী আর্তস্বর।
ছোট্ট মায়ের কোল্ ঘিড়ে দুই সোনার শিশু ছিলো
কষাই নিষাদ মায়ের কোলের আগল কেড়ে নিলো।
কেঁদে বেড়ায় মায়ের স্নেহ দুধের ভারে দেহ
মাংসলোভী খাদক গুলো মুখিয়ে বেজায় কেহ।
দিনের আলোয় হচ্ছে জবাই বাঁচার আর্তনাদ
দেখছে সকল লোলুপ দৃশ্য এত্তেলা সমাজ।
দোকান ,বাজার ঝুলছে খাবার ,মুন্ডবিহীন ধর্
রক্তমাখা মুন্ড  বেয়ে  স্রোতে নিষাদ  নগর।
ষড়রিপুর বেজায় তাড়ণ তরতরিয়ে লাইন
পশুর জীবন ডিশে , কোরমা,পোলাও ফাইন!!
কাঁদছে মাতা,কাঁদছে শিশু বলির কোঠায় নাম
বাজার জুড়ে ভোজ বিলাসের   চরম প্রহসন।


চলছে মহোত্সাহে ,মৃত্যুসাজের ব্যাপক আয়োজন
হচ্ছে বিনাশ সৃষ্ট সমাজ  জীব বিলুপ্তিকরণ।
সমাজ দেখি জবাই মানুষ, মানুষ কষাই হয়
জন্মদাতা মানুষ ,আবার মৃত্যুদূতের ভূমিকায়।
মানুষ গড়ে সুষম সমাজ,মানুষ মারে আত্মবোধ
বিবেক-বোধের সুষ্ঠ নীতি ঝুলছে মারণ ক্রোধ।
দুনিয়াদারের কষাইখানায় এন্ট্রি করা জীবন
লাইনে সবাই ঝুলছি কেমন নিষাদ মানুষ প্রধান।
ত্রিশ'কোটির এই বঙ্গদেশে মানুষ চতুষ্পদ
হিংস্র কখন্,ক্রুদ্ধ কখন, কখন্ সে  দ্বি-পদ্।
লুকিয়ে থাকে নখড়,দাঁতের বক্র,কুঁটিল ধার্
সুযোগ বুঝেই  প্রমাণ করে ভীষণ ভয়ংকর্।
জবাই জীবন কাঁদছে প্রবল প্রাণের আর্তস্বর
কইরে তফাৎ মানুষ কাঁদে সমান অনন্তর ।
প্রাণের ঘাতক্ ,প্রাণের মূল্যে ,প্রাণীর মহোত্সব
কৈ প্রাণে আর সই থাকে কি মানুষ,পশুর শব্।



(আজ আর হলো না কাল দেবো নববর্ষের শুভেচ্ছাসহ কবিতা,এবং আসরের সব প্রিয় কবি বন্ধুদের জানাবো আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আজ বাজারে গিয়ে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল সমুখে ঝুলছে মুন্ডহীন পাঁঠার দেহ,সমুখে রাখা কতগুলি ছোট পাঁঠাদের ভীত,সন্ত্রস্থ আর্তস্বরের ত্রাহী চিত্কার,বিশ্বাস করুন মনটা খুব খারাপ হলো,আর খাঁচায় বন্দী মুরগীগুলোর চরম বিপর্যয় আর্তস্বর,মনে হল কেন,কিসের জন্য এই খুন....কিছুই করার থাকলো না জানেন,কিচ্ছু না।)