কোন এক ঝড়া পাতার কাছে প্রশ্ন কোর, জানবে
আমার চূরান্ত কোলাহল ছুঁইয়ে কেবল
আজ-কালের যাতায়াত ছিল,তখন এমন ছিল না,
প্লাবন হত,পার্বণ ঘরে ঘরে ,তোমার কতগুলি ভ্রম ছিল-
তুমি বুঝতে না,ঐশি আলোক মেখে ভাবতে- পার হওয়া যায়,
বলতে নতজানু হওয়া যায় মানুষের কাছে
অথচ নিজেই নতজানু হলে না কখনো।
যে সন্ধিক্ষণ তোমার জীবন রঙীণ করেছে
তাকে তুমি ভুলে বলতে, স্কিত্জ্যফ্রেনিক,
ঠিক বলতে না,অথচ কি ভীষণ বিশ্বাস ছিল বলায়।
সেই বৈশাখে ঝড়ে গেল অসংখ্য পাতারা,শেষ দাবীর মতো
কোন এক ঝাপটায়,অথচ আবিষ্কার হতে পারতো
নতুন অধ্যায়,আলোক ফ্লাশের ধারার মতো খবর
সাধারণের ঘরে, তার বদলে কেউ এল বলল-
মেয়ে একমুঠো ভাত খাবি ? একমুঠো কেউ খায় ?
খেলে পেট ভরে খায়,ছিলে তুমিও, কোন আবিষ্কার হলো না।
উদ্ধার হলো ক্ষয় হওয়া তোমার নিস্পৃহতা,
আঁধারগুলো ভাঙতে ভাঙতে আমি জেরবার,কটূক্তি
নিন্দা-মন্দ,ভ্রম,অনীহার লিস্ট যাঁতাকলে পেষাই হলাম।
তখনো আস্থা ছিল শেষ প্রহরের,এমনি করেই ভাঙণ এল
আসে যেমন,মানুষ ভাঙে,ঘর-সংসার তুমিই শেখালে-
গৌন নয়,অ-প্রধান,ক্ষুদ্র নাগরিক ,ঝড়া পাতা বলে-
অথচ স্পষ্ট ছিল সমুখ প্রসন্নতা,কেউ বসে ছিল বিরোধী,
লিখে দিল অকারণ ভ্রম্ ,তুমিও গোটালে আস্তানা,
সংক্ষেপে যাওয়া-আসা, ক্রম সংকুচিত,প্রকাশিত সত্য।
আজ ফেলে যাওয়া স্বর শুনো পাতাদের মর্মরে
জানোইতো শিঁড়দাঁড়া ভাঙার আওয়াজ হঠাৎই শোনায়
হঠাৎই শুরু হয় নিঃশব্দে তত্পর অন্য কোন ভ্রম।
গলির নিশানায় অন্য বিষাদ আমি যাচাই করি না
সে আমার প্রগলভ্ হয়,দু হাতের তরজায় উজার করেছি।
যে বা যারা চলে গেছে পিছ হতে অন্য পথ ধরে
অন্য নাম ক্ষণেকের ভ্রান্ত হতে হতে আশ্চর্য নিস্পৃহ।
দেখেনি ফলক সত্কার মাটিতেই ফলেছিল সুখ
বলা কথা নিলামের দর আরো খাঁটি হল।