মুখোমুখি বসে আছি,চেতনার ঘাড় ঝাঁকা দিয়ে
পরপারের বিস্তৃত শ্রাবণ আর আসছে না সহজে,
কিছুতেই ধোওয়া যাচ্ছে না প্রবৃত্তির ঋণ চেনা কায়দায়,
অথচ বৃষ্টি দরকার খুব ,এ মুহূর্তে,আমি বলিনি পরবাস হতে,
"দূত্ নিয়ে এসো কয়েক পশলা মেঘ,খাল্,নালা,বিল-
সব ভরে দাও বিষাক্ত কার্বণ", চেয়েছি বৃষ্টি শুধু।


মেয়েরা ছুটছে মন্দির, গির্জায় জল দেবতার পূজো
আমি আছি প্রকৃতি অঙ্গার,সুদে মূলে মেপে দিই দোষ
পুরুতের সন্ত্রাস শুরু হবে এখনই, স্বর্গ, পয়গম্বর স্বপ্নে স্বয়ং-
বলে যাবেন কতকথা,লম্বা লিস্টি,শোষণের খাড়া নিয়ে।
আমি তার পাশাপাশি সৃষ্টির ঘাড়, সমগ্র জাগতিক গতির-
ঘাড় ঝাঁকা দিয়ে বলতে চাইছি," এক্ষুনি একটা সন্ত্রাস হবে",


সাগর,নদীর বিশল্যকরণী আমি প্রবাহ হতে জানিনা,হৃদয় মানি,
এই মুহূর্তে প্রিয় কন্ঠ ছুঁয়ে জানাতে পারি জলার্ত আবেদন,
আছি অঙ্গারে সৃষ্ট হতে চাই শুদ্ধ আঙিনায়,প্রিয়র পাশে জলময়।
যার যত প্রিয় আছে সকলের জোয়ার দেখতে চাই অসংখ্য
ওরা ভেসে রবে আমাদের পবিত্র দ্বীপে শুকিয়ে যাবার আগে,
ওদের দেহের কোষে আরও কত তীব্র আবেগ জলের বহতা
প্রাণ হয়ে হেসে খেলে যাবে, সব দ্বীপ,জলাশয় ,সুষ্ট হয়ে রবে,


"ও কি এখনও জমেনি আঁধার ? দু চোখ ঝাপসা নদী পার " ?
মিলছে না কিছুতেই সহজ স্বীকৃত ওই শ্রাবণ উপহার।
মুখোমুখি বসে থাকা আজ তাই খুব দরকার।