আজ সারাদিন তোমাকে ভাববো !!
কোন্ পাল্লাটা ভারী হবে?
আকূল শব্দ-দ্যোতনায় মিশে যাওয়া কাব্যরা ? না কি চটুল-
শব্দবান্ ? পাথরের ঘরে বসে নির্ণিত পর্বত আবিষ্কারের নকশা !
বুদ্বুদ জলে পা চুবিয়ে বেশ তো ছিলাম ভেসে , উল্কিময় হাত্;
তোমার ভাষারা যদি ব্যাঞ্জনা হতো প্রমাদ হয়তো কিছু হতো;
নীল তাড়ণায় উদ্বেগ রেখে ঢলে গেলে উপদ্রব দিনে , ওহে প্রিয়!!
সে কি কোনোদিন কারণ হবে কাব্যের? আরো কত সংসর্গ প্রলাপ?
যেও না ও পথে প্রিয়!! আঁচল বিন্যাসীর ঢেউয়ে সাজানো কর্ষঁণ;
আকরিক শব্দের রথে উড়ছে ঘূর্ণি বাতাস, প্রমাদ এল মনে;
ভাবছি তোমায় খুব ! ভাববো সারাদিন আজ! আমিতো রেখেছি-
রুদ্ধ কপোলে পরিপূর্ণ বিস্বস্ত স্থাণ, ক্ষনিক হৃদয় , ভয় হয়-
ভেসে গেছে আরো সরঞ্জাম যারা ছিল হিংসা বশীভূত দুগ্ধ সঞ্জাত,
সারক্ষণ জীবিতের ভয়ার্ত কারণ কোনো মনে আশ্রয় চায়-
প্রবল ক্ষেত্র তবু গ্রোথিত মাটিতে আঁচড়ের নমুনা সাক্ষর।
কারণ হয়েছো তুমি , আজও তবু নিরাভয় নড়েচড়ে ওঠো অন্যথা;
ঠিকানা হারিয়ে হেঁটে গেছ প্রজ্ঞার নিরাময় কক্ষ নিশ্বাস বিষে।
জানি আমি, প্রহরায় থেকে সারাক্ষণ সাক্ষী হয়েছি। আমি অব্যয়।
অকারণ, পা চুবিয়ে বসবো আবার , শেষবার বলেছি থাকো।
অতঃপর হিসেবটা রেখো, কোন্ পাল্লাটা ভারী হলো?
কতটা পরিমাণ?
২
কবিতাঃ মিছিল
জোয়ান,মরদ সব গেছে মিছিল,হরতাল্ ,কাপড়ের মিল্
মাসখান হলো গেটে তালা, শ্রমিকের অনন্ত ফসিল
ছেলে,বৌ শিশুগুলা বাড়ী বাড়ী ভিখ্ মাগে হাড় কঙ্কাল
কেহ বা জুড়ায় জ্বালা পাঁচ-ছয় ঠিকায় অন্ন জল।
"সময় শুনেছো কি ? গুনেছো কি শ্রমের ফসল"?
ওরা আমাদের পথে যায়,সমাজের মিশিয়ে সভ্যতা
সেজে উঠি দুস্তর,প্রাসাদ,বিলাস যত নির্নিত প্রথা।
ওদের চূলার দরে মিশে থাকে সততার রক্ত ঘাম
বিন্দু হয়ে ঝড়ে পরে ভাতের আসরে অন্ন প্রমাণ।
বাবুদের ঘর আর মেশিনের কল্ বোঝাপড়া দুয়ে সংস্থাণ
হেসে খেলে গুজরান কোলে,কাঁখে শিশুদের প্রাণ।
" সময় শুনেছো কি , গুনেছো নিদারুণ দুরাশা প্রমাণ"?
হাপরের কব্জায় আগুণ জ্বলে না,হাড়ে জ্বলে যে পরিমাণ।
হতাশার মুষ্টিতে ভীত নয় জোতদার । মালিক,শোষক
জিরজির শরীরের দায় নিয়ে বাবুরা হাসেন। রক্ত জোঁক।
গেল বারও মিছিলে হেঁটেছে----আওয়াজ তুলেছে বেবাক-
"শ্রমিক,মালিক
ভাই ভাই,
দুয়ে মিলে বাঁচতে চাই।"
প্রতিদ্ধনী বাধ ভাঙে বুকের ভিতর জ্বলা চোখ,হিংস্র দারুণ
আগন্তুক কর্ণধার , গোঁ মেরে ভীরের জনতা ,হেঁসোর কোপায়-
" বাবু এট্টু রক্ত দেও বাছারা উপোস,বাবু এট্টু রক্ত দাও---"
খুনের রক্তে স্বাদ নিল হেঁকে বারংবার ,অট্টহাস ভরে
আঁজলা ভরে কত রক্ত নিল বুঝি শিশুদের তরে,
আপন মনেতে গেল ফিরে ;
"জোতদার তোমার রক্ত চাই ,
রক্ত খেয়ে বাঁচতে চাই , জোতদার তোমার রক্ত চাই,
রক্ত খেয়ে বাঁচতে........।''
( আজ মে দিবসে আমার পূর্ব রচিত সময়োপযুক্ত কবিতাটি পোস্ট করলাম।)