ভাষাহীন কত আশাময় পথ ভুলে যায় এঁকেবেঁকে;
স্তব্ধ বেদন নিয়েছে গোপন সরলতা ঢেকে রেখে।
মনের দুয়ারে জমেছে প্রবল লিপ্সার কাঁনাগলি;
আঁধার ঘেরে যে দেখি চারদিক কদর্য দলাদলি।


মৌজ-মগ্নতা ঢেলে রাশি চলে লোফালুফি যৌনতা;
আধাআধি দ্বারে উন্মত্ত কদরে চোষে হাড় লুব্ধতা।
কদর দেখিনা বন্ধু-স্বজন,প্রেম-পীড়িতির দায়;
ভাঙণ যুগের নোঙরখানা ভিড়ছে কলির ঘায়ে।


চলছে বেজায় আমি তুমি হায় সাবেক কালের সং;
মানছি বেবাক বিবেক চুরির হরেক রকম ভরং।
ত্রেতা,কলির,দাপর ছেড়ে নতুন হিড়িক যুগ;
ভাসছি সবাই লুপ্ত হৃদয় অন্য জোয়ার সুখ।


বুঝছি কেবল মানছি না হার নিচ্ছি কুলুপ এঁটে
আপন আগল কঁষেই বাধি অপর বাঁধন ছেঁটে।
রাখছি না খোঁজ পড়শি স্বজন বলছি প্রেমিক নিজে;
শিরদাঁড়াটা থাকলে সোজা টান পরেনা ল্যাজে।


মন হারিয়ে ক্ষুন্ন হৃদয়,ওহে শিশমহলের রাজা!!
শিরঃপীড়ার বাড়ছে বেফাঁস মুখোশ মুনশী প্রজা।
কহে মুসাফির রসাতল হলে রসনা আসেকি কভু?
লজ্জার ঘ্রাণ বত্সগন, লেলিহান,আবিষ্ট যোগ প্রভু।  


চলরে হৃদয় তোলরে বোঁঝার বাড়ন্ত উদ্বেগ!!
মেলেনা হেথায় বিলাস প্রণয় বিকল্প ভাবাবেগ।
সময় এগোও সাবলীল পথ বাসনা নোঙর করো;
মেতেছে মানুষ রসনা বালাই,মেকী কুর্ণিশ সারো।


কবিতায় আছি পাতাঃ কবিতাটি কাল আড্ডায় দেবো


এবার এসেছি পিছে আসরের মোহে মিশে আড্ডায়
তুলব বেজায় ঝড় কথারাও দুর্মর মাঝে থেমে যায়।
শিমূলটা খোঁজ নেয় মৃদুলটা ভাই হয় ইমতির কথা
তুলব আসরে আজ ব্যপক আড্ডাবাজ নিয়েছি এ প্রথা।
ছাড়ব না কোনমতে তিনটেই দিতে হবে কবির প্রণালী
বসেছি স্থিত হয়ে ভাবছি শব্দ নিয়ে সকাল সন্ধ্যা ঢালি-
দিতে হবে সেরাটাই কবিতার পাতাতেই এই আড্ডায়
কোন্ কথা ভাষা হয় কে বা পথে হারা হয় নেই ভরসায়।
বেহেড মাতাল কিবা পাগল বলবে লোকে হাসবে যদিবা
করার কিছুই নাই নিয়েছি চরম দায় আসরে কবিতা।
ভাষাগুলো কিলবিল এঁটো হয় গতকাল নতুন দেখিনা
আনাগোনা ছন্দের দ্বন্দ যে মন্দের তথাপি জানিনা।
বাসী গুলো কেটে দেয় কথার প্রদাহে নবীর সৃজন
শব্দ জব্দ হলে মন শুধু ঘাঁই মারে বাক্য আয়োজন।
দাঁড়ি,কমা,সেমিদের বসানো হলোনা ফুসরত নাই
মাথাতে ঘূর্ণিপাক ডানবাম ব্যম্ ব্যম্ সমাজের নই।
অবশেষে কোনমতে ছেঁটে ছুটে কেঁটে কুটে পদ্য বানাই
মাননীয় এ্যাডমিন্ ব্যান হলে অক্কা পাবো এই বলে যাই।
আছে আরো ভুঁড়ি ভুঁড়ি সেমি কথাদের ঝুড়ি বেচব সবায়
আসি মনে দম দিয়ে একরাশ হুকা নিয়ে সেবন যোগাই।