তোকে দেখে দুঃখ হয় দিদি,আজীবন রয়ে গেলি পিছে?
আমি তো দেখেছি,নিদারুণ পরগাছা ক্লেদ বয়ে শেষে-
আড়ালে ভাবী সময়ের আশ্বাস,জানি আমি অগুন্তি প্রহর-
চলে গেছে ভাতঘুম নীরবতাময় তোর সৌহার্দ্য ব্যবহার।
ওরা উপসুখ নিয়ে তোর রেখে গেছে রেশ,দুস্থঃ অবকাশ
আমি তো চিনেছি আঁধারের কালোমাখা নিঃস্ব আশ্বাস।
চিরকাল  গভীর মমতায় বেধেছিলি স্নেহ,প্রেম প্রতারক,
শুধু উপদের সুখে মহাসুখে রেঁধেছিলি নির্বিরোধ পাক।
সঁপেছিলি মহাসুখ বিনিময়ে জোড়াতালি স্বজন,সুজন।


ওরা মিলে গেল শেষে তুই মহা ভিন্ন প্রজাতি অভাজন।
জানি দিদি,গোত্র শেষে বলি তুই ভেঙেছিস ধূসর জরায়ু
রক্ত,ক্লেদ ক্লান্তিময় পথ তোর ঐতিহ্য খুঁজেছে প্রাণবায়ু।
দুঃখ হয়, মেলাতে পারিনা দিদি,আজ,কাল,আগামীরঋণ
মিলে গেল সব শুধু মিল নেই তোর?অবাক হব না দুর্দিন?
মিলে যায় দেশ,কাল,পাত্র-মিত্র,মহাজন,নদী, জল-স্থল
আজও কেন? কিসের পরিত্রাণ? স্থবির, মিছে হলাহল?


জেনেছি আমিও, যজ্ঞে ঢেলে মহারণ ওরা শোলার গৃহে
করেছে স্থনান্তর তোকে অজ্ঞাত কোন্ স্বর্ণ খনির মোহে।
বিষে বিষ রাখা আছে কার্তুজ,বোমা হানাদার মস্ত হৃদয়
দিদি তুই মহাবিষে জ্বর-জ্বালা কন্যা নাগিনী হ' কতিপয়।
ওঠ্ ফুসে ধুরন্ধর, নীতিহীন যে রেখেছে তোরে  শ্বাপদে
ছোবলের বিষ বাণ ঢেলে শুদ্ধ হ' দিদি তুই চরম বিপদে।



কিছু শব্দার্থঃ
পাক-রান্না করা, নাগিনী কন্যা--যে কন্যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে।