বুকের গভীর যেন কার নীড় আজ ভেঙে পরে আছে
এসেছিল পাশে গহীন ধোঁয়াশে ভাঙা এ মনের কাছে।
আরোহীর বেলা গুছিয়ে সে খেলা রেখেছিল আগুপিছু
আজ  অবেলায় হেনে চলে যায়  জীবনের  সবকিছু।
দহন বেলায় ধূ ধূ বালুকায় দেখেছি তাহার উদভ্রান্তি
কত  আয়োজন হেন  বিনোদন যদিও ক্ষনেক শ্রান্তি।
যেদিন মারণ গুঁটি বসন্তে  ছেঁয়েছিল  গ্রাম  হাহাকার
কূট পরিজন কভুও সুজন  শয্যা পেতেছে  বটপ্রান্তর--
শীর্ণ  দেহের  করুণ  আকূতি  হয়নি বৃথা সে  বন্ধুর
কেউ নেই পাশে দেখি সে হাসে স্নেহখানি অতি সুমধুর।
মানিল না কোন ছোঁওয়া ছুঁয়ি বাছ বিচারের প্রহসন
শুষ্ক ললাটে জলের স্পর্শে দিয়ে গেল বুকে যেন প্রাণ।
সেইবার ভবে মৃত্যুযাত্রী  হৃদয় উদাস প্রেমের ছবি
এঁকেছিল কেউ অতি  সযতন প্রাণ বিধাতার কবি।
প্রথম জীবনে মানুষ চিনেছি ভালোবাসা, স্নেহ,প্রেম
কে বা রাখে খোঁজ কার কি প্রকার আকূল লেন দেন।
জীবন প্রবাহে মাছেদের ঝাঁকে কতনা দ্যোতনা ছল্
মানুষের কাছে মাছেরা জেনেছে নিয়মটা অবিকল।
জলের জীবন ডাঙার ভুবন মিলেমিশে গেছে একতা
মাত্স্যন্যায়ের ধাঁচের নমুনা চলেছে সমানে বহতা।
বন্ধুর প্রীতি যেন আজ স্মৃতি কি হল ভুল কে জানে
ভেঙে গেল সব মোহ্ স্নেহ, প্রেম মুহূর্তে ব্যবধানে।
ছিল যে আপন ছিল কি সে পর,কেন অজুহাত হলো--
নিমেষে চোকাল সব সমাধান বন্ধু  বিদায় নিলো।
স্মৃতির কুহরে লাভক্ষতির এই অঙ্ক মেলেনা দুষ্কর
লিখে দিয়ে যাই সেই কথাটাই ছিন্ন হৃদয় প্রান্তর।