যেদিন সাহেব চেনালো আমার মাকে
একযুগ পার করে আসা নীরব দাসীর-
কী ভীষণ লজ্জা লুকোনো প্রয়াস,
কুঁকড়ে যাওয়া দাসীর--
স্বীকৃতিহীন অস্তিত্বজুড়ে পৃথিবীর হুঙ্কার
সাহেবের কর্কশ স্টেনগান--
গ্যাট্ গ্যাট্ সশব্দে মৃত্যু পরোয়ানা
দাবী রেখেছিলাম ওকে স্বীকৃতিদান
নতুবা প্রলয়--জেনেছিলাম--
মা আমার কোন শ্বেতবংশদ্ভূত নয়
ডজনখানেক মেম আর উদগ্র কামনা
প্রতিদিনের বাবার সংযোগ
আমিও শিখেছিলাম উচ্ নীচ্
দাসী,মণিব পদ্ধতিগুলো-
আমার রক্তে নীল বেদুইন চাষ করছিলো----
আমি রোজ গাইতাম শেলী,কিটস,বায়রণ
ক্লাশমেট ওই শ্যামলা ছেলেটাকে--
বোকা গাধা মনে হত-
বেশ বয়ে যাচ্ছিল পৃথিবীর গতিপথ


আজ আমি এক কোণ বিপন্ন নেশাময়
হারিয়েছে নীল রাজকীয় নাট্যের সংলাপ
অসবর্ণ বিয়ে ধোঁকা দিয়ে আমার রাজপথ
দাসীকন্যায় মাত্র পরিচয়--
আমি মৃত্যু চাই ওই রেভারেন্ড সাহু
কয়েকশত কার্তুজ স্টেনগানে-
পৃথিবীর সব নীলরক্তের-
একত্রিত লাশ চাই আর এক যুদ্ধ দামামা
গর্জে উঠুক নীল প্রজাতি কামুক বংশধর
আমি ওদের নরক চেনাবো-
তাই ক্রুশবিদ্ধ যীশুর মৃত্যু দিয়েছি-
আমার নেশার পৃথিবী,আর বন্দুক,কার্তুজ
সশব্দে ওদের স্থিরচিহ্ন মুছে দেবো বলে-
এনে দেবো মায়েদের বাঁচার তাড়ণা--
আজ আমার চলেছে চির স্থায়িত্বদান
পৃথিবীর দাসীমাতাদের মুক্তিযুদ্ধের তাড়ণায়---