বোন তোর আছে মনে ,
গেলবার পূজো দেখেছি তারে  সিটি মল্ আউটডোর
সঙ্গী প্রেয়সী সেই কণিনীকা ছিল বছর সাতেক জোড়।
জ্বলছিল আলো রেঁস্তোরা মিহি হালকা মোলাম নীল
সেই আলো মেখে দুজনায় কত দেখেছি হদয়ে মিল।
মানিয়েছে সুখের হদিশ আমার হৃদয় মাশুল গুলো
মনে আছে তোর মিথ্যে কথায় ভুলিয়ে আমায় ছলে?
নানা  ছলাকলা কত সয়ে হেলা বেধেছি মনের বল্
বলেছিলি তুই  কত প্রেম যেন কত তার কৌশল।


সবই ভুঁয়ো আজ সে ফন্দিবাজ হেনে গেছে ধান্দায়
তবু মন আজ কিসের তাড়ণে সে স্মৃতিটা ছুঁয়ে যায়।
থাক্ না রে বোন এ জীবন মরণ মৃত্যু হেনেছে ফাঁদ
খাদের কিনারে এসে গেছি তাই হয়ে থাক্ সংবাদ।
দিনেই আঁধার ঘিরুক  আমার  উপত্যকার আবাস
কংক্রীট  গাঁথা  শহরে আবার রচা হোক  ইতিহাস।
স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল  সেঁচে দেবতা,অসুর, মহালয়
টলে যাক্ সব মদত দাতারা  তান্ডব ঝড় ঝঞ্ঝায়।


অনেক  কথায় ছন্দে ভরিয়ে, জুড়িয়ে মনের জ্বালা
তোর খোরাকের উপহারটুক দিয়েছি সাজিয়ে ডালা।


দুর্গ  আমার  সাধের  দেউটি শহর ছাড়িয়ে গঞ্জে
ফিরছে অতীত মানুষ নামে ভাঁডিয়ে বানর সংজ্ঞে।


মনে আছে বোন আষাঢ়-শ্রাবণ কাগজ নৌকাগুলো?
সারা মাঠ ঘুড়ে ঝোপ,ঝাড়ে শেষে অন্তিম ঠাঁই নিল!
আজও অবসর সেই সমাদর চেতনে গজিয়ে ওঠে
দুই বোন মেলা নৌকোর খেলা জীবনের পরিপাটে।
যায় বয়ে যায়  শ্রাবণধারায়  খড়কুটোময় পাঁচালি
শহরের বাড়ী কত ভাব আড়ি আমাদের গলাগলি।
মায়ের শাষণ তোষণ বারণ এক থালে ভাত খাওয়া,
মনে পড়ে খুব এই উজবুক প্রাণে দিয়ে যায় ছোঁওয়া।


আসছে পূজোয় নেই ছুটিবোন হবেনা দেশেতে ফেরা
হৃদ্ তন্ত্রের  তারগুলো সব  ভেঙে পরে রবে হারা--।
অনেক ব্যাথার নিষাদ হেনেছে হৃদয় ভাঙার খেলা
বিষাদের ঘরে ঘিরেছে তমসা সহসা প্রাণের মেলা।
ঢং ঢং ওই এক প্রহরে  সময় ফুরোলো, ইতি দিদি
দুষ্ট মেয়ে গোপন রেখ এ-যন্ত্রণা কাহিনী পান্ডুলিপি।