সুখম্, কাল তোকে প্রয়োজন ছিল খুব,
অন্তত দুটি শব্দ বলার জন্য।
অচ্ছুত্ বলে ওরা যখন ঘিরে রেখেছিল আমার চারপাশ
আর আমায় টেনে হিচড়ে বার করে এঁটেছিল সোহাগ দুয়ার--
রাতের আঁধারে শলা,পারমর্শে তুই কেমন শিথিল হলি-
ওদের মৌলবীর নির্মম আদেশ ফতেয়ার দোহাই দিয়ে
ঢেকে দিলি বোরখা নিষেধ।
অথচ প্রতিশ্রুতি ছিল দিব্য গড়ব সমাজ
তখন কদমতলায় তোতে আমাতে কি ভীষণ জল্পনা--
বলেছিলি কেউ থাকবেনা আমাদের মাঝে,
আমাদের প্রেম হবে দৃষ্টান্ত সমাজ--
দেখে নিস্ তুই----।।
আজ কাঠগড়ার পাশে বিরুদ্ধবাদের চাপা হাসি--
ঠিক তখনই--তোর অন্তর্ধান জানান দিল ওরা অসম বিবাহ--
কোথাও নেই তুই,আমার বোবা আর্তনাদগুলো--
আছড়ে পরছিল চত্বরের কুটিল দৃষ্টির সার্থকনামায়।
ওরা প্রশ্ন করছিল কে? কে সুখম??
আমি অপাপবিদ্ধ স্বরে প্রমাণ করতে চেয়ে--
ব্যর্থ হলাম বারংবার,ওদের মুন্সিয়ানায় ঠাসা কোর্ট চত্বর...।
অথচ কোন মুহূর্ত নেই আমি তোকে স্মরণ করি নি,
কোন অভিজ্ঞাণ নেই যা বলা হয়নি তোকে-
আমি সহজে ভুলেছি স্বজণের ঋণ,তোর পথ চেয়ে--
যখন ওরাও ভুলেছে ঠিক সেই দিন থেকে-
তুই নিজের বিশ্বাস ছুড়ে দিলি মৌলবাদী বাহানায়--
আর ওরা আজ আমায় ছুড়ে দিল ফেলে---
সুখম্, দেখেছি তোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটটা--
দেখা হয়নি তোর হৃদয়ের সঠিক পরিমাপ।
কেন সুখম কেন? এ কোন্ সংজ্ঞা গড়ার আয়োজন??