ওরে  ছন্নছাড়া  জল এত মাতন কেন বল
সকাল থেকে দুপুর গেলো তবুতো খলবল।


ভেস্তে গেল লগন আমার সুর্মা কাজল সাজ
জল থৈ থৈ পথে আমার লুটায় ভরণ  লাজ।
কোন্ পরাণের সুর শুনে রে মোহন বাঁশি কার
আহ্লাদে আজ আকূল বিকূল  খুশীতে  উজার।


মেঘলা রংয়া শাড়ী গায়ে বৃষ্টি ধোওয়া কাজ
অথৈ শ্রাবণ  মেঘলা মেয়ে উদোম  নটরাজ।
আগল করে  ঘনঘটা ঢাললি কত বৃষ্টি চ্ছটা
উড়ছে আচল তোর বনতল প্রলয় নাচন ঘটা।


কোন আড়ালে পরাণ প্রিয় বান সোহাগী ডাক
রাই  কমলি  উন্মাদিনী প্রলয় মাতন সোহাগ।
ভাসছে আমার  বিড়ম্বনায় বেবাক  আয়োজন
আমার সাধের গানটি জুড়ে তোর যত মাতন।


ওরে বানসোহাগী,ধ্বংসকারী সৃষ্টিনাশা মেয়ে
থামবি  কি তুই হাহাকারের ঘূর্ণি প্রবল হয়ে।
জলভাসী তোর মরণ ডাঙায় শবের হাহাকার
আমার প্রহর ভাসছে রে তোর তৃষায় অনন্তর।