ভাবতেছিলাম বীণার তারে জুড়ব সে কোন সুর
সাজাবো  এক  প্রেমের ভুবন  স্বপ্নে ভরপুর।


রংয়ে ভুবন  ভরিয়ে নিয়ে  হৃদয় রসে বশে
দুনিয়া দারের ছিন্ন হৃদয় ভরবো ভালোবেসে।


আলো আঁধার থরে থরে রাখবো থাকে থাকে
ইচ্ছেমতন রাখবো মনে বিষন্নতা ঢেকে।


রামধনু তাই উঠল হেসে আমার রংয়ে মাতো
আকাশ দিল আসন পেতে তারার আদর যতো।


প্রকৃতিও উঠলো ফুটে সুগন্ধে ভরপুর
পাখির তানে আনল দিবস আলোক সুমধুর।


কুড়িয়ে সেসব রঙীণ রাশি রাখতেছিলাম ধীর
বাঁধতেছিলাম রঙীণ আলাপ ছন্দ সুমধুর


হাসির রাশি মাখিয়ে সবে আলোক পুলক রাজে
মখমলি প্রেম উঠল হেসে বক্র কুটীল সাজে


আকাশ আলো রামধনু রং রাখলো ঢেকে চটক
প্রকৃতিও চোখ বুঁজে হায় সইল সেসব নাটক


বীণার তারে বেদন বাজে রোদন ভরা সুরে
সেই পলাতক পাষাণ হৃদয় প্রেমের ভুবন জুড়ে-


ঘোর কালিমায় নিষাদ হানে কোমল বিষাদ মান
দৃষ্টি ফিরে শুধুই দেখি ভন্ডের জয়গান


ভন্ড যত মুখোশ নামে প্রেমের নামাবলী
নামতে নামতে স্থাণ থাকেনা প্রেমিক পদাবলী


প্রেমের নামে ভন্ড যত চামুন্ডারই বেশে
নিত্য করে অর্থহনন আজব রসে বশে


হৃদয়ে মোর উঠল বেজে বীণার ছন্দ রাজে
যে সুর বাজে বলছে আজো সত্য সে প্রেম আছে


আকাশ বাতাস ভুবন ভরা এই যে প্রাণের ধারা
তোমার আমার জীবন জুড়ে নিত্য জোগায় সাড়া


আছে সে প্রেম নিশ্চিত কোন্ সুজন সখার প্রাণে
সময় হলেই ঢালবে প্লাবন নিবিড় সঘন ঘ্রাণে....


                 ২
সবকটি বিষাদের দিয়ে নির্বাসন
           প্রেম আসে চৌকাঠে
কতভাবে জুড়ে দেয় রঙীণ আলাপ
দু দন্ড বসে,ভাসায় বিষাদ।
মুহূর্তে ভরে দেয় সাগর জোয়ার ধূসর তোষক
আসে,হাসে,বসে পাশে ছড়ায় সুবাস
ছেড়ে দেয় বৈচিত্র্য অভ্যাস,
ডাকে কাছে খুব,ডানা দেয় উড়াণের
প্রেম দেয় মনে,হৃদয়টা জোয়ার সমুখ--


সব নিভে গেলে মন অযাচিতে হয় আপনার
ধীরে চৌকাঠ বেয়ে ঘরের আগল
উঠে যাই ধূসর সংসার ঢেকে
রিণিরিণি সুর বাজে অভাবী সংস্থাণ।
দুদিনের রাজা সাজ রুচির বদল
জীবন আর বিষাদের চলে মনান্তর
আমি আর উজিরের অর্থ সমান।
পড়ে থাক কিছুকাল নিয়মের ঋণ
আমার উড়াণ আর পরকীয়া আমি
থেকে যাই অনেকটা সময়ের মুছে ব্যবধান।


তিনদিন শেষ হলো মোহ্ লেন-দেন
আপনিই সরে যায় সব--
রং রং স্বপ্নের বিভোর প্রণয়-
না ফেরালে গতিপথ প্রলয় বা স্থিতি
ফেরায় আমার ধূসর যাপন।
থাকে পরে কলঙ্ক দাগ সেই ধূসর বিছানা।