ছেলেটির  অভিযোগ মিশে যায় খদ্দেরের চায়ের দোকান
কোন ভোরে শিশুকাল মিশে গেছে সংসারে অভাব তাড়ণ
যে সময় ডাংগুলি,লাটিম,ব্যাট-বল,ইস্কুল সমবন্ধুরা ছেলে
ও পেয়েছে স্বস্তি খেলার,দোকান মালিক  কাজ অবহেলে।
দেখেছে ও দামী  আড়ম্বর, ধনীর  আলাল, কত  আবদার
ছেড়া শার্ট চোখে জল,বলেনি সে কোনমতে কথা বেদনার।
কাপ ধোয়  বেসিনে দৃষ্টি ভাষায় সমুখের মাঠে  দৌড়ঝাঁপ
পূজায় মেতেছে  সব রঙীণ পোষাক আর আনন্দ  উত্সব।
দৃষ্টি ঝাপসা হয়  ক্রমাগত উড়ে যায় দেশ  দেশান্তর গাঁয়
অভাবের ঝাঁপ খুলে বাপ তার শয্যাগত নীরব  উপেক্ষায়।
ভাঙে ডিশ্ খান কয়  রোষের প্রহর  আসে ধেয়ে অবিচল
স্তিমিত অশ্রুজল কে মোছাবে নেই  স্নেহময়ী মাতৃঅঞ্চল।
ঘোরে সাধ যখন তখন ইহকাল হাওয়ায় ভাসান ইচ্ছেরা
মুহূর্তেই  বড় হয় সব ছেড়ে  দোকান মালিক  কূট জেরা।
ফোটে জল টগবগ যেন ছোটে ওর বাসনা  সওয়ার দৌড়
চা  জলের  আয়নায় স্ফীত হয়  ছেলেটির  উড়ান সফর।
চায়ে, দুধে,চিনি মিশে ও  হাতের  যাদুকর বাড়ে খদ্দের
ভেট  বাড়ে  দোকানীর গদগদ  জমকের  কত  আড়ম্বর।
একদিন হবে বড় নেবে কিনে দোকানীর যত আয়োজন
সাধ তার  ধোঁয়ার মাতন কুন্ডলী  পাখনায় ক্রম বহমান।
দ্যাখে ছেলে আরও কত দুস্থের সঘন অশ্রুজল ওর চোখ
ছড়িয়ে  ধোঁয়ায় রাশি পৃথিবীর সুপ্ত ইচ্ছেরা আছে  নির্বাক।